স্পোর্টস ডেস্ক : এবারের আইপিএলে আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক হয়েছে ভীষণ। খেলোয়াড়-আম্পায়ারদের সম্পর্কটা কখনও কখনও হয়ে পড়ে ‘সাপে-নেউলে’। বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স যে প্লে-অফ পর্যন্ত যেতে পারলো না, তার জন্যও কোনো কোনো ম্যাচের আম্পায়ারিংয়ের দায় দেখছেন সমর্থকরা।
কেননা কোহলির ব্যাঙ্গালুরু লিগ পর্ব শেষ করেছে ১১ পয়েন্ট নিয়ে। একটি ম্যাচ বেশি জিতলেই ১৩ পয়েন্ট নিয়ে চার নাম্বার দল হিসেবে প্লে-অফ খেলতে পারতো তারা। সেই একটি ম্যাচ হতে পারতো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে, যে ম্যাচে মাত্র ৬ রানে হারে কোহলির দল। আম্পায়ার সে ম্যাচে মুম্বাই বোলার লাসিথ মালিঙ্গার নিশ্চিত এক ‘নো’ বল এড়িয়ে যান।
কোহলির দল প্লে-অফ থেকে ছিটকে পড়েছে। কিন্তু বিতর্ক তৈরি হয়েছে তাদের শেষ ম্যাচেও। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচে কোহলির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় আম্পায়ার নাইজেল লংয়ের। রাগে গজগজ করতে করতে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের আম্পায়ার রুমের দরজাই ভেঙে দিয়েছিলেন লং।
সেদিনের ম্যাচে হায়দরাবাদের শেষ ওভার। বল করছেন ব্যাঙ্গালুরুর উমেশ যাদব। একটা ‘নো’ বল ডেকেছিলেন আম্পায়ার লং। কিন্তু টিভির ভিডিওতে দেখা যায় যে, উমেশের পা স্ট্যাম্পের পিছনেই ছিল। উমেশ এবং বিরাট দুজনেই আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্তে দুঃখপ্রকাশ করেন। অল্পবিস্তর কথা কাটাকাটিও হয়।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্যমতে, হায়দরাবাদের ইনিংস শেষ হতেই রেগে গিয়ে আম্পায়ার রুমের দরজাই ভেঙে দেন লং। দরজা ভেঙে ফেলার খেসারতও দিতে হয়েছে ৫০ বছরের ওই আম্পায়ারকে। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষকে ৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন তিনি।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel