জুমবাংলা ডেস্ক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) আইন বিভাগের এক অধ্যাপককে ক্লাস চলাকালীন সময় লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে অভিযুক্ত ওই বিভাগের শিক্ষার্থী আশিক উল্লাহকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে একাধিকবার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে লাঞ্চিত করা ও হত্যার হুমকির অভিযোগ রয়েছে।
এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তাকে সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন।
বহিস্কৃত আশিক উল্লাহ আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তার আইডি ১৬১১০৬২৩।
বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আশিক উল্লাহ নামে ওই শিক্ষার্থী বিভিন্ন সময় বিভাগের মেয়েদের হেনস্তাসহ বিভাগের শিক্ষকদের নামেও কটাক্ষ করে তার নিজস্ব ‘আশিক নামা’ পেজ থেকে পোস্ট দিয়ে আসছিল। আজ সকাল ১০টায় হঠাৎ ক্লাস চলাকালে আশিক উল্লাহ নামে ওই শিক্ষার্থী প্রবেশ করে এবং ক্লাসের দরজা বন্ধ করে শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত করেন এবং তাকে মারধর করতেও উদ্বত হয়। এসময় সে শিক্ষিকা বের হওয়ার চেষ্টা করলে বাঁধা দেয় আশিক। এসময় ক্লাসে থাকা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ক্লাস থেকে বের হন ওই শিক্ষক। কয়েক শিক্ষার্থী এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানালে তাদেরকেও হত্যার হুমকি দেয় বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবিসহ তিনদফা দাবিতে বিভাগের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের এসব দাবির মুখে বুধবার (২৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আশিক উল্লাহ দীর্ঘদিন যাবত একাধিকবার শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীদের সাথে অশোভন আচরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশের বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে সে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হত্যার হুমকি দিয়েছে। আজ বুধবার আইন বিভাগের ক্লাসরুমে শ্রদ্ধেয় একজন শিক্ষিকা ড. বেগম আসমা সিদ্দীকাকে হেনস্থা করার প্রেক্ষিতে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন ও দাবীর মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে তাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শৃঙ্খলা কমিটি ও সিন্ডিকেটে রিপোর্ট সাপেক্ষে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার নির্দেশ প্রদান করা হলো।
এ বিষয়ে আইন বিভাগের প্রফেসর বেগম আসমা সিদ্দিকা বলেন, এই ছেলেটির সাথে আমার কোন দ্বন্দ্ব নেই। সে আমাকে আজ ক্লাস রুমে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করে। আমার প্রিয় শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে আমাকে বের করে আনে। না হলে আমার অনেক ক্ষতি করতে পারতো। আমি এ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আফআইআর করেছি। এখন বিভাগ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নিবে।
বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, এর আগেও এই শিক্ষার্থী বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা রকম মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে বিভাগের ইমেজ নষ্ট করেছে। সে দীর্ঘদিন যাবৎ নানা বিশৃঙ্খলা করে আসছে। যার কারণে বিভাগের একাডেমিক কমিটির মাধ্যমে তার অপকর্মের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছিলাম। এর আগের তদন্তের রিপোর্ট এবং আজকের বিষয়টি আমলে নিয়ে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।