নেপালে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে খাদ্য সংকট সংকট বাড়ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। এর ফলে ভারতীয় সীমান্তে নেপালের নাগরিকরা এসে ভিড় জমাচ্ছে বলে সংবাদ প্রতিদিনে দাবি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সোমবার থেকে শুরু হওয়া ‘জেন জি’ আন্দোলনের জেরে দেশজুড়ে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেনাবাহিনী রাস্তায় টহল দিচ্ছে, কার্ফু জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন চেষ্টা চালালেও বিক্ষোভ থামার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।এরই মাঝে শুক্রবার কাঠমান্ডুতে এক ভারতীয় মহিলা সাংবাদিককে বিক্ষোভকারীদের হাতে হেনস্থার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক নিন্দা ছড়ায়। যদিও ওই ঘটনার পর নেপালের সাংবাদিকদের একাংশ প্রকাশ্যে ওই ভারতীয় সাংবাদিকের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
নেপালের উত্তপ্ত পরিস্থিতির সরাসরি প্রভাব পড়ছে ভারতের উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে। অস্থিরতার জেরে বিপুল সংখ্যক নেপালি নাগরিক খাদ্য সংগ্রহের তাগিদে নদী ও বনপথ পেরিয়ে ভারতের হাটবাজারগুলোর দিকে ধাবিত হচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগরের খুনওয়া সীমান্তে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে আসা নেপালি নাগরিকদের ফেরত পাঠাচ্ছে সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি)। একইভাবে পশ্চিমবঙ্গের পানিট্যাঙ্কি সীমান্তে মেচি নদী পার হয়ে তিন নেপালি নাগরিক ভারতে ঢোকার চেষ্টা করলে এসএসবি তাদের নেপালে ফিরিয়ে দেয়।
ভারতীয় সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতে কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে। তিনটি রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। নাগরিকত্ব যাচাইয়ের পরেই সীমান্ত পারাপারে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
“https://inews.zoombangla.com/%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%b8%e0%a7%82%e0%a6%9a%e0%a6%bf-%e0%a7%a8%e0%a7%a6%e0%a7%a8%e0%a7%ab-126/”
অন্যদিকে, প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমেও বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে প্রশাসন। রংপো, মেল্লি, রেশি-সহ একাধিক এলাকায় যানবাহনে তল্লাশির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সম্ভাব্য অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ডিআইজি ও এসপি-দের স্পর্শকাতর এলাকাগুলো পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।