জুমবাংলা ডেস্ক : তুরস্ক থেকে আমদানি করা প্রায় ২শ’ মেট্রিক টন পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দরেই নষ্ট হলো সময়মতো খালাস না নেয়ায়। পেঁয়াজগুলো আমদানি করা হয়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দিতে না পারায় এগুলো জাহাজেই আটকে থাকে প্রায় একমাস ধরে।
অবশেষে খালাস করে আনার পর দেখা যায়, তাতে পচন ধরেছে। এই অবস্থায় এ বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ মাটিতে পুঁতে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে। টিসিবি সূত্রে জানা যায়, তুরস্ক থেকে এসেছিল পেঁয়াজের ১১টি লট। এরমধ্যে একটি ছাড়া বাকি লটের পেঁয়াজ খালাস নেয়া হয়েছিল। কিন্তু এক লটের পেঁয়াজ খালাসে বিলম্ব হয় সরবরাহকারী বিদেশী প্রতিষ্ঠান সময়মতো ডকুমেন্ট সরবরাহ করতে না পারায়।
পেঁয়াজগুলো রেফার (হিমায়িত) কন্টেনারে রাখা ছিল। শেষ পর্যন্ত খালাস নিয়ে দেখা যায়, বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ খাবার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। টিসিবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের উর্ধতন কার্য নির্বাহী জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, তুরস্ক থেকে যে পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে তারমধ্য থেকে ২শ’ মেট্রিক টনের মতো নষ্ট হয়েছে।
সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আমাদের কাছে পেঁয়াজ বাছাইয়ের জন্য স্থান চাইলে আমরা টিসিবি এলাকার মধ্যেই জায়গা দেই। বাছাইয়ে খাবার অযোগ্য পেঁয়াজগুলো আলাদা করে একপাশে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই বাছাই সম্পন্ন হয়েছে, যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে শুক্রবারের মধ্যে এগুলো পুঁতে ফেলা হবে। তাই পরিবেশের ক্ষতি হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই।
টিসিবির জন্য আনা প্রায় ২শ’ মেট্রিক টন পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ায় আর্থিক ক্ষতি কেমন হলো এ প্রশ্নের জবাবে সংস্থাটির দায়িত্বশীল এ কর্মকর্তা বলেন, এতে সরকার বা টিসিবির এক টাকাও ক্ষতি নেই। কেননা, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিই ছিল, তারা যে পরিমাণ ভাল পেঁয়াজ দিতে পারবে সেগুলোই গুদামে রাখা হবে।
ডকুমেন্টশনে কোন ঝামেলা থাকলে সে দায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানেরই, টিসিবির নয়। বুধবারও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি পেঁয়াজগুলো দেখে গেছেন। তারা এ ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে গেছেন। তবে সরকারের আর্থিক ক্ষতি না হলেও ডকুমেন্ট জটিলতায় এতগুলো পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়া খুবই দুঃখজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ নিয়ে আসা জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় একমাস ধরে আটকে ছিল। পণ্য খালাস সময়মতো না হওয়ায় ছাড়তে পারেনি এ জাহাজ। এ লটে যত পেঁয়াজ ছিল তার সবই নষ্ট হয়নি। ভাল পেঁয়াজগুলো আলাদা করা হয়েছে। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান যে পরিমাণ ভাল মানের পেঁয়াজ বুঝিয়ে দেবে, টিসিবি সেগুলোই গ্রহণ করে মূল্য পরিশোধ করবে।
আমদানির এ পেঁয়াজ বাছাইয়ের পর নষ্টগুলো ফেলে দেয়া হয় চট্টগ্রাম ইপিজেড এলাকায় অবস্থিত টিসিবি ভবন সংলগ্ন খালি জায়গায়। সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়ে দরিদ্র মানুষ। সূত্র : জনকণ্ঠ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।