খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়নি: ডা. জাহিদ

জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপনের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সেন্ট্রাল লল্ডনের ‌‘দ্য লন্ডন ক্লিনিকের সামনে ব্রিফিংকালে এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ‘লিভার প্রতিস্থাপন’ করার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ম্যাডামের স্বাস্থ্যগত সব পরীক্ষার প্রতিবেদন আসার পরই লিভার প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেবে মেডিকেল বোর্ড। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপার্সনের শারীরিক ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে তার বয়স এখন ৭৯ বছর। এ কারণে আদৌ ‘লিভার প্রতিস্থাপন’ করার মতো শারীরিক অবস্থায় তিনি আছেন কিনা বা কীভাবে করলে ম্যাডাম আরও ভালো থাকতে পারবেন এসব বিষয় বিবেচনা করতে হবে। তবে সেগুলো বিচার-বিশ্লেষণের সময় এখনো আসেনি।

বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় অতি দ্রুত যে সব পরিবর্তন আনা দরকার সে বিষয়গুলোই চিকিৎসকরা বিবেচনায় নিচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন ডা. জাহিদ হোসেন।

তিনি আরও বলেন, চেয়ারপার্সনের পরবর্তী চিকিৎসা এখন কতটুকু প্রয়োজন সে বিষয়েই আলোচনা হচ্ছে। তার লিভার ডিজিজ এবং হার্টের যে সমস্যা রয়েছে সেগুলোর রিপোর্ট এখনো কমপ্লিট হয়নি। দ্য লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হওয়ার পরে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা হচ্ছে। তার লিভার, কিডনি, হার্টের জটিলতা রয়েছে। প্রত্যেকটি ‘অ্যাড্রেস’ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কাজেই সব মিলিয়ে আগামী কয়েকদিন আরও বেশকিছু পরীক্ষা-নিরিক্ষা করবেন এখানকার চিকিৎসকরা।

ডা. জাহিদ বলেন, দ্যা লন্ডন ক্লিনিকের লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির নেতৃত্বে ছয় থেকে সাতজনের একটি মেডিকেল টিম বেগম খালেদা জিয়ার চিকিতসায় নিয়োজিত রয়েছেন। তারা আমাদের মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে তাদের ডিসিশন, অবজারভেশন শেয়ার করে যে ধরণের বেটার চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন সেটাই দিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালে ২৭ এপ্রিল বেগম খালেদা জিয়া প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর তিনি ১৫ বার ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পালাক্রামে ৪২২ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ সময়কালে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের চিকিৎসক, অস্ট্রেলিয়ার নামকরা সব চিকিৎসক ও ডা. জুবাইদা রহমানসহ বিশিষ্ট চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের নেতৃত্বে তার চিকিৎসা হয়েছে। ওই সময় বিদেশি চিকিৎসকরা আমাদের দ্বিধাহীনভাবে বলেছিলেন যে, নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আপনার বেগম খালেদা জিয়াকে যে চিকিৎসা দিয়েছেন তা চমৎকার। তাদের ভাষায় ‘ইউ ডিড দ্যা ওয়ান্ডারফুল জব’। এমন কি এখন লন্ডন হাসপাতালের ডাক্তারাও একই কথা বলছেন।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সব টেস্টের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজন হলে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা লন্ডনে আসবেন। আমাদের সঙ্গে তাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেলেই বেগম খালেদা জিয়া সরাসরি তার বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় যাবেন। সেখানে তিনি আরও কিছুদিন থাকবেন।

প্রধান উপদেষ্টার সর্বদলীয় বৈঠকে যাচ্ছে না বিএনপি