আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বছর দেড়েকের কন্যাসন্তানকে খু’ন করেছেন তার মা। এ ঘটনায় ওই নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাঁকুড়া জেলায়।
সন্তানকে হ’ত্যার অভিযোগ তুলে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মৃ’ত শিশুটির বাবা। তার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ওই নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বাঁকুড়ার তালডাংরার বাসিন্দা ভরত মাকুড়। বছর দেড়েক আগে তার একটি কন্যা সন্তান হয়। জন্ম থেকেই বিকলাঙ্গ ছিল শিশুটি। কিন্তু মেয়েকে নিয়ে ভরতের স্ত্রী খুশি ছিলেন না বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, অন্যদিনের মতোই সোমবার রাতেও মেয়ের পাশেই ঘুমিয়েছিলেন ভরতবাবু। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে উঠে আর মেয়েকে দেখতে পাননি। স্ত্রীর কাছে মেয়ের কথা জিজ্ঞেস করেও কোনো সদুত্তর পাননি তিনি। বরং স্ত্রীর জবাব শুনেই সন্দেহ দানা বাঁধে ভরতের মনে। এরপর এলাকায় মেয়ের খোঁজখবর করেন তিনি। কিন্তু কোথাও সন্ধান মেলেনি শিশুরটির। অনেকক্ষণ পর বাড়ির পাশের একটি পুকুরে তার ম’রদেহ ভাসতে দেখা যায়। দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃ’ত বলে ঘোষণা করেন।
এরপরই স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় খু’নের অভিযোগ দায়ের করেছেন ভরত মাকুড়। তার বক্তব্য, ‘আমার মেয়ে শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ। মেয়ের জন্মের পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল স্ত্রী। সেই কারণেই মেয়েকে খু’ন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য ম’রদেহ পুকুরে ফেলে দিয়েছে।’
ভরতবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতেই তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশেরও অনুমান, মেয়ের অসুস্থতার কারণে মানসিক অবসাদ থেকেই সন্তানকে খু’ন করেছে ওই নারী।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।