আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাবাকে হত্যা করে থানায় গিয়ে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন এক যুবক। শুক্রবার গভীর রাতে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ থানার কুর্মিতলা এলাকায় চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটে।
খুনের জেরে পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, শনিবার ভোরে থানায় গিয়ে সুব্রত কীর্তনিয়া নামের এক যুবক স্বীকার করে— ‘বাবাকে হাঁসুয়া দিয়ে মাথায় কোপ মেরেছি। বাঁচবে বলে মনে হয় না। আমাকে গ্রেফতার করুন।
মৃতের নাম খোকন কীর্তনিয়া (৫৫)। তবে মৃতের পরিবার এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।
পুলিশ কর্মকর্তা বরুণ বৈদ্য বলেন, ‘বাবাকে খুনের কথা থানায় এসে নিজেই কবুল করেছে সুব্রত। তাকে আটক করে
প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের বরাতে খবরে বলা হয়, খোকন কীর্তনিয়া পেশায় পুরনো জিনিসপত্রের কেনাবেচা করতেন। সুচিত্রা কীর্তনিয়া খোকনের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী।
প্রথম পক্ষের স্ত্রী প্রায় ১৫ বছর আগে মারা যায়। তারপর সুচিত্রাকে বিয়ে করেন খোকন। তবে খোকনের তিন ছেলে মেয়ে দুই ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ের বিয়ে হয়েছে লালবাগেই। কুর্মিতলার বাড়িতে খোকন স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে থাকতেন।
অভিযোগ রয়েছে, খোকনের অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। সে কথা জানতে পেরে গিয়ে স্ত্রী তার প্রতিবাদ জানান।
প্রায়দিন মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে এসে খোকন স্ত্রীকে মারধর করতেন। ঘটনার রাতে মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে আসার পরই খোকন
স্ত্রী সুনীতার মোবাইলে এক জনের মিসড কল দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ফের মারধর শুরু করেন। মাকে মারধর করতে দেখে সুব্রত বাধা দেয় বাবাকে।
তা নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
এক পর্যায়ে হাঁসুয়া হাতে সুব্রতকে খুনের হুমকি দিতে থাকেন বাবা। এর কিছু সময় পর পরিস্থিতি শান্ত হয়ে গেলে ফের রাত তিনটার দিকে
শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর ঝামেলা।
সেই সময়ে সুব্রত হাঁসুয়া নিয়ে বাবার মাথায় কোপ দেন। খোকন কীর্তনিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সুব্রত বাড়ি থেকে বেরিয়ে সটান মুর্শিদাবাদ থানায় পৌঁছে আত্মসমর্পণ করেন।
ঘটনার পরই খোকনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান খোকন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।