জুমবাংলা ডেস্ক : মসজিদের সোলার, ব্যাটারি চুরির অভিযোগে এক কিশোরকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২২ জুন) সকালে কুড়িগ্রামের বলদিয়া ইউনিয়নের মংলারকুটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক ইউপি সদস্যসহ দু’জনকে আটক করেছে কচাকাটা থানা পুলিশ। আটকৃতরা হলেন, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের মেম্বার রাজু আহম্মেদ এবং স্থানীয় মাতাব্বর জাফর আলী মুন্সি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় দু’সপ্তাহ আগে মংলারকুটি মসজিদের সোলার ও ব্যাটারি চুরি যায়। এই চুরির সাথে জড়িত সন্দেহে একই গ্রামের জসীম উদ্দিনের ছেলে কিশোর মাহাবুবুর রহমান (১৫) কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান ইউপি সদস্য রাজু আহম্মেদ, জাফর আলী মুন্সি, আব্দুল হান্নানসহ ১০/১২ জন। নির্যাতিত কিশোরকে জাফর আলী মুন্সির বাড়ির আঙ্গিনায় প্রথমে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করার পরে দ্বিতীয় দফায় বাঁশডলা দিয়ে মধ্য যুগীয় কায়দায় বর্বর নির্যাতন করে অভিযুক্তরা।
এসময় কিশোরের মা মালেকা বেগম ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে তার সামনেও নির্যাতন করা হয়। একপর্যায় কিশোর মাহবুবুর জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তার মায়ের সাথে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন নির্যাতনকারীরা। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় মাহবুবকে। এ ঘটনায় রাতেই অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালিয়ে দু’জনকে আটক করে পুলিশ।
তবে ইউপি সদস্য রাজু আহম্মেদের পরিবারের দাবি কিশোর মাহমুবকে উদ্ধার করার জন্য সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। কচাকাটা থানার ওসি মামুন অর রশিদ জানান, সংবাদ শোনার পরেই রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।