ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট রিউভেন রিভলিন বলেছেন, গাজা থেকে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে রকেট হামলা চালানোসহ বিস্ফোরক ভর্তি বেলুন পাঠানো ঠেকাতে উপত্যকাটির শাসক দল হামাস ব্যর্থ হওয়ায় যুদ্ধের ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে।
জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি এবং নিজ ভূমিতে ফেরার দাবিতে ২০১৮ সালে গাজার ইসরায়েলি সীমান্তে তীব্র বিক্ষোভে নামে ফিলিস্তিনি নাগরিকেরা। ওই বিক্ষোভের মধ্যে প্রথমবারের মতো অস্ত্র হিসেবে বিস্ফোরক বাধা বেলুন ও ঘুড়ির ব্যবহার দেখা যায়। এতে ইসরায়েলের বেশ কিছু খামার ও বসতিতে আগুন ধরে যায়। এসব বেলুন ও ঘুড়ি পাঠানোর জন্য গাজা উপত্যকার নির্বাচিত শাসকগোষ্ঠী হামাসকে দায়ী করে থাকে ইসরায়েল। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের বেলুন ও ঘুড়ির ব্যবহার বেড়েছে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিমান ও অন্যান্য বিমানের মাধ্যমে গাজা উপত্যকায় হামাসের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, আজ রাতে আরো আগের দিকে একটি রকেট ছোড়া হয় এবং দিনের বেলা গাজা উপত্যকা থেকে বিস্ফোরক ও আগ্নেয় বেলুন ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পাঠানো হয়। এর জবাবে গাজা উপত্যকায় চালানো হামলায় হামাসের বিশেষ একটি সামরিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
হামাসের নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ও ড্রোন হামাসের কাসেম ব্রিগেডের কয়েকটি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় হামাসের সামরিক শাখাটির নিরাপত্তা অবস্থানের মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে কারোর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
গত এক সপ্তাহ ধরে গাজা উপত্যকা ঘিরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা নিরসনে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মিসরের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
এদিকে মঙ্গলবার বেশ কয়েক জন অগ্নিনির্বাপণ কর্মীর সঙ্গে দেখা করেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট। বলা হচ্ছে, এই কর্মীরা মঙ্গলবার ফিলিস্তিন থেকে পাঠানো বেলুন থেকে সৃষ্ট ৪০টি অগ্নিকাণ্ড নেভাতে সক্ষম হয়েছে।
অগ্নিনির্বাপণ কর্মীদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘আগ্নেয় বেলুন ও ঘুড়ির মাধ্যমে চালানো সন্ত্রাস অন্য যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসের মতো আরেকটি সন্ত্রাস। হামাসের জানা উচিত এটা কোনো খেলা নয়। এমন সময় আসবে যখন তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে… যদি তারা যুদ্ধ চায় তাহলে তারা যুদ্ধই পাবে।’
সূত্র: আল-জাজিরা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।