নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী ও কাশেমপুর এলাকায় ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল থেকে কয়েকটি কারখানায় হামলা চালিয়েছে শ্রমিকরা। এসময় তারা কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং আবাসিক হোটেল ভাঙচুর করেন। শনিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে ঘটনাটি ঘটে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু মোহাম্মদ নাসের আল আমিন বলেন, “আজ বিকেলে কোনাবাড়ী ও কাশিমপুরে ইসরায়েলি আগ্রাসান বিরোধী মিছিল থেকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কয়েকটি কারখানায় ইট নিক্ষেপ করে। কোনাবাড়ীতে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের দাবি জানিয়ে কিছু দোকান ও শপিং মলে হামলা ও ভাঙচুর চালান তারা। এসময় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদ ও গাজাবাসীর প্রতি সমর্থন জানাতে আজ বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিকেলে কোনাবাড়ী এলাকায় স্ট্যান্ডার্ড স্টিচেস ওভেন লিমিটেড, কনকর্ড নিটিং এন্ড ডাইং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং কাশিমপুরে ডিবিএল গ্রুপের মাইমুন ও মতিন গার্মেন্টসে মিছিল থেকে হামলা ও ভাঙচুর চালায় কিছু লোক। পরে তারা কোনাবাড়ীতে বাটা শো-রুম, আজোয়া, পিৎজ্জা হল, সপ্ন সুপার শপ, বিউটি সুইট মিটসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০টি দোকানে হামালা ও ভাঙচুর চালান। বিক্ষুব্ধরা কোনাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল রেইনবো ও মুনে হামলা চালান। তারা মুন হোটেল থেকে আসবাবপত্র বের করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
স্ট্যান্ডার্ড স্টিচেস ওভেন লিমিটেড-এর এডমিন ম্যানেজার ইউসুফ আলী বলেন, “বিকেলে বহিরাগতরা আমাদের কারখানায় হামালা চালায়।” একটি মিটিংয়ে আছি পরে কথা বলছি বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
কাশিমপুরে ডিবিএল গ্রুপের এইচআর জিএম মো. নাইমুর রহমান বলেন, “বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কিছু লোক কারখানার ২ নম্বর গেটে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পরে তারা মিছিল নিয়ে কারখানার ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ কারণে কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়। আমাদের মতিন স্পিং মিলস এবং জিতার মোড়ে মাইমুন লিমিডেটেও হামালা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে।”
গাজীপুর শিল্প পুলিশের এসপি একেএম জহিরুল ইসলাম বলেন, “শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে কয়েকটি কারখানায় ইট ছুঁড়ে। একটি কারখানা ভাঙচুরের খবর পেয়েছি।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।