নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর বুধবার সকালে গাজীপুরে সব শিল্পকারখানা চালু হয়। তবে পুরো উৎপাদন শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) থেকে। কারখানা ও শ্রমিকদের সার্বিক নিরাপত্তায় শিল্প পুলিশের ৪২০ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন।
শিল্প-মালিকরা জানান, শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুরের সব কারখানা চালু হয় বুধবার। তবে শ্রমিক সংকটে পুরোদমে উৎপাদন শুরু করা যায়নি। আজ থেকে পুরোদমে উৎপাদন শুরু হয়েছে। কিন্তু আমাদের দুশ্চিন্তা কমেনি। কারণ পাঁচ দিন উৎপাদন ব্যহত হয়েছে। সেই সঙ্গে ইন্টারনেট না থাকায় সময়মতো শিপমেন্ট করতে না পারাসহ বায়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ করাও সম্ভব হয়নি।
গাজীপুরের চন্দ্রার মাহমুদ ডেনিমস কারখানার এডমিন ম্যানেজার আবু তালেব বলেন, গত কয়েকদিনের সার্বিক পরিস্থিতিতে আমাদের অনেকগুলো শিপমেন্ট আটকা পড়েছে। কোনো কারণে বায়ার শিপমেন্ট বাতিল করলে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবো।
কোনাবাড়ীর তুসুকা গার্মেন্টসের এজিএম মাসুম হোসাইন বলেন, আমাদের কারখানায় প্রতিদিন এক লাখ পিস প্যান্ট উৎপাদন হয়। পাঁচ দিনে পাঁচ লাখ পিস প্যান্ট উৎপাদন ব্যহত হয়েছে। এছাড়া, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় বায়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সেই সঙ্গে বন্ধ ছিল শিপমেন্ট। অনেক বায়ার সময়মতো শিপমেন্ট না হলে পণ্য নিতে চান না। আবার কখনও মূল্য কম দিতে চান।
স্প্যারো এপারেলস লিমিটেডের প্রধান উৎপাদন কর্মকর্তা (সিওও) শরিফুল রেজা বলেন, গত পাঁচ দিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় আমাদের প্রায় ৮ লাখ ডলার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া, সময়মতো শিপমেন্ট করতে না পাড়ায় এখন বিমানে পণ্য পাঠানোর চেষ্টা করছি। এতে খরচ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, কারখানা ও শ্রমিকদের নিরাপত্তায় শিল্প পুলিশের ৪২০ সদস্যসহ সকল কর্মকর্তারা কাজ করছেন। পাশাপাশি পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনা সদস্যরাও টহল দিচ্ছেন। আশা করি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শিল্প উৎপাদন অব্যাহত থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।