জুমবাংলা ডেস্ক: দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের মোকামে বাইরে থেকে পাইকার না আসায় আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে পেঁয়াজ বিক্রি করতে না পারায় ক্রেতা সংকটের কারণে গুদামে মজুত করা পেঁয়াজ পচে নষ্ট হচ্ছে। এতে করে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।
শনিবার (৮ অক্টোবর) সকালে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিদিন ভোর থেকেই হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজের মোকামগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যস্ততা বাড়ে। কিন্তু এই কয়েক দিনের চিত্র একটু ভিন্ন। বাইরে থেকে মোকামে ক্রেতা না আসায় বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সেই আনাগোনা নেই। তবে শ্রমিকরা গুদামে থাকা পেঁয়াজ নাড়াচাড়া করার কাজে ব্যস্ত। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দেখা গেল গুদামে মজুদ করা পেঁয়াজ তারা বাছাই করছেন। এরমধ্যে থেকে ভালো পেঁয়াজ বাছাই করে ফ্যানের বাতাস দিয়ে শুকাচ্ছেন। আবার পচা পেঁয়াজ আলাদা করে কম দামে বিক্রি করছেন। পচা ও আংশিক পচা পেঁয়াজের বস্তা বিক্রি করছেন ১০০-২০০ টাকায়।
বন্দরে পেঁয়াজ আমদানিকারক বাবলুর রহমান জানান, দুর্গাপূজায় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত লম্বা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে বন্ধ থাকে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। এ সময় ভারত থেকে বেশি পেয়াজ আমদানি করে মজুত করা হয়েছে। কিন্তু দেশে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক থাকায় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা না আসায় কাঙ্খিতভাবে বিক্রি হচ্ছেনা। ফলে পচে নষ্ট হওয়ায় আমার ২০-২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত গরম আর ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণেও গুদামে পেঁয়াজ পচে নষ্ট হচ্ছে। বর্তমানে হিলি বন্দরের আমদানিকারকদের প্রায় ৫০০ মেট্রিকটন পেঁয়াজের অধিকাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে আমরা বাছাই করে নষ্ট পেঁয়াজ ফেলে দিচ্ছি। যে গুলি একটু ভালো সেগুলি বস্তা প্রতি ১০০-২০০ টাকায় বিক্রি করছি। যাতে কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যায়। শনিবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারও পেঁয়াজ আসা শুরু করবে, সেই সঙ্গে বাজারেও দাম কমে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।