নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের পারকুল গ্রামের এক গৃহবধূ আদালতে এ মামলা করেন। ধর্ষণ মামলার আসামিরা হলেন- নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন (৫০), পরিষদের সদস্য দুলাল আহমদ (৪০), সেবুল মিয়া (২৮), সহিদুল মিয়া (২৫), জিবু মিয়া (২৭)। এ ছাড়াও মামলায় আরো তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, গত ৮ অক্টোবর বিকেলে ওই গৃহবধূ রিকশাযোগে শেরপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। রিকশা পারকুল গ্রামের মেম্বার দুলাল মিয়ার বাড়ির সামনে আসা মাত্র আসামিগণ তাকে জোরপূর্বক একটি সিএনজিযোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অজ্ঞাতস্থানে তিনদিন আটকে রেখে আসামিগণ পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। চারদিন পরে আসামিগণ স্থানীয় আউশকান্দি বাজারের একটি রেস্টুরেন্টে সামনে সিএনজি থেকে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। পরে খবর পেয়ে ভূক্তভোগী ওই নারীর স্বামী এসে তাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক হবিগঞ্জ জেলা দায়রা ও জেলা জজ মোহাম্মদ হালিম উল্লাহ চৌধুরী গত ১৮ অক্টোবর নালিশকারীর দরখাস্ত ও জবানবন্দি পর্যালোচনা করে নবীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জকে মামলা এফআইআর করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিন কার্য দিবসের মধ্যে মামলা রজু করে প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন।
বাদীর স্বামী অভিযোগ করে বলেন, মামলার সাক্ষীদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারের পক্ষ থেকে চাপ সৃষ্টি করে এবং হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তারা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়াতে তাদের লোকজন দিয়ে আমাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এতে আমি আমার নিজ বাড়িতে যাওয়ার মত সাহস পাচ্ছি না।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন বলেন, আমি শুনেছি একটি নারী নির্যাতন মামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আমি কিছুই জানি না।
ইউপি সদস্য দুলাল আহমদ বলেন, এরকম ঘৃণিত কাজের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান জানান, মামলাটি আদালতের আদেশে প্রক্রিয়াধীন আছে। আজ রাতেই এফআইআর গণ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র : কালের কন্ঠ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।