আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মেয়ের পরিবারের লোকজনকে না জানিয়ে বিয়ে করেছিলেন ভারতের বিমান বাহিনীর একজন কর্মকর্তা। সে কারণে ওই কর্মকর্তার বাবাকে বেধড়ক পিটিয়ে গায়ে প্রস্রাব করা এবং মল-মূত্র খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে কনের বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়ের খুর্সিপার এলাকায়। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে অভিযোগকারী বা অভিযুক্ত কোনো পক্ষেরই নাম-পরিচয় জানাউনি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিমান বাহিনীর পাইলট পদে কর্মরত ওই জওয়ানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল স্থানীয় এক তরুণীর। তিনি ডাক্তারি পড়ছিলেন। সম্প্রতি তরুণীর বাড়িতে কিছু না জানিয়ে দু’জন বিয়ে করেন। দু’জন একই সম্প্রদায়ের। কিন্তু মেয়ের বাড়ি থেকে এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি।
সেই রাগে কয়েক দিন আগে ওই বিমান বাহিনীর কর্মকর্তার বাবাকে রাস্তায় একা পেয়ে আক্রমণ করেন তরুণীর বাড়ির লোকজন। পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে তিনি জানান, ওই দিন তিনি গাড়িতে করে একাই যাচ্ছিলেন। খুর্সিপার এলাকায় তরুণীর বাড়ির লোকজন তার গাড়ি আটকায়। গাড়ি থেকে জোর করে নামিয়ে শুরু হয় বেধড়ক মারধর। কয়েকজন তার গায়ে প্রস্রাব করে। জোর করে মল-মূত্র খাইয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
অভিযোগপত্রে ওই প্রৌঢ় আরো জানান, ওই সময় তাকে হুমকি দেওয়া হয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের মেয়েকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে। সেটা না করলে এবং পুলিশে জানালে ফল ভালো হবে না। তার মুখ কয়লার গুঁড়া দিয়ে কালো করে দেওয়া হয়। মারধরে অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
জ্ঞান ফিরলে তিনি তার ভাইকে ডেকে স্থানীয় থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। তার পর থেকেই তরুণীর বাড়ির লোকজন গা ঢাকা দিয়েছে। পুলিশ বলছে, ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে আঘাত করা, বেআইনিভাবে আটক করা, ফৌজদারি উদ্দেশ্যে আঘাত, সম্মানহানিসহ বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।