নিজস্ব প্রকিবেদক, গাজীপুর: দুই গ্রামের মানুষকে ঈদের উপহার হিসেবে চলাচলের জন্য খালের ওপর কাঠ দিয়ে ৩৫ ফুট লম্বা সেতু তৈরি করে দিয়েছে গাজীপুরের শ্রীপুরের দুস্থ সেবায় যুব উন্নয়ন সমিতি নামের একটি সংগঠন। পৌর এলাকার লোহাগাছ ও রাজাবাড়ি ইউনিয়নের বিন্দুবাড়ি গ্রামের সংযোগ স্থলে নির্মিতি সেতুটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের বিন্দুবাড়ি গ্রাম ও শ্রীপুর পৌরসভার লোহাগাছ গ্রামের শেষ প্রান্তে একটি খাল রয়েছে। স্থানীয়দের কাছে এটি কাটা খাল নামে পরিচিত। খালের এ পাড়ে বিন্দুবাড়ি গ্রামে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। দুটি বাজার ও ভোট কেন্দ্রও রয়েছে সেখানে। আর ওপারে রয়েছে লোহাগাছ গ্রাম। এই দুই গ্রামের লোকজনের চলাচলের রাস্তায় কোনো সংযোগ সেতু না থাকায় গ্রামবাসীদের যাতায়াত ছিল কষ্টসাধ্য। প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার লোকজনের চলাচল ছিল বাঁশের সাঁকো দিয়ে। মাঝেমধ্যেই সেটা ভেঙে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হতেন সাধারণ মানুষ।
লোহাগাছ দুস্থ সেবায় যুব উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ঈদের দুই দিন আগেই শুরু কাঠ দিয়ে ওই ৩৫ ফুট দৈর্ঘ ও ৪ফুট প্রস্থের ওই সেতুর কাজ। ঈদের দ্বিতীয় দিন সেতুটি চলাচলের উপযোগী হয়। সেতুটিতে পাথরের তৈরি খুঁটি, আকাশমণি কাঠ ও কিছু রড ব্যবহার করা হয়েছে।
দুস্থ সেবায় যুব উন্নয়ন সমিতির সভাপতি আলফাজ সরকার আকাশ বলেন, এই সেতু না থাকলে লোহাগাছ গ্রাম থেকে বিন্দুবাড়ির দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে শিক্ষার্থীদের অন্তত এক কিলোমিটার পথ ঘুরতে হতো। শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের ওপর ভর করে খাল দিয়ে কোনোরকম পারাপার হওয়া গেলেও বর্ষায় কষ্টের সীমা ছিল না। বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হতো। এছাড়া বয়স্কদের জন্যও চলাচল ছিল কষ্টকর। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল কাটা খালটিতে একটি সেতু নির্মাণের।
তিনি আরো বলেন, দুস্থ সেবায় যুব উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতায় কষ্টের পরিত্রাণ মিলেছে। যারা শ্রম ও সময় দিয়ে এই কাঠের সেতু তৈরিতে সাহায্য করেছেন তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। সবার সহযোগিতা পেলে আগামীতে সমাজসেবামূলক আরও কাজ করতে পারবে সংগঠনটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।