কোরিয়ান স্কিনকেয়ারের কথা বলতে গেলেই চলে আসে গ্লাস স্কিনের কথা। গ্লাস স্কিন বলতে কী বোঝায়? গ্লাস স্কিন বলতে কোরিয়ানরা বোঝেন দাগহীন, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত ত্বক। বিভিন্ন দেশের নানা রকম স্কিনকেয়ার সবাই কমবেশি করে থাকেন। কিন্তু বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ কোরিয়ান স্কিনকেয়ার করে আশানুরূপ ফল পেয়েছেন। তাই ধীরে ধীরে এর জনপ্রিয়তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। তবে সময় স্বল্পতার জন্য এতগুলো ধাপে ত্বকের যত্ন নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই ৩ ধাপেও কীভাবে কোরিয়ান গ্লাস স্কিন পাওয়া সম্ভব, তা জেনে রাখা ভালো।
কোরিয়ান স্কিনকেয়ারের ৩ ধাপ
কোরিয়ান স্কিনকেয়ারে ডাবল ক্লিনজিং, এককথায় বলা যায় অত্যাবশ্যক। প্রথমে একটি ক্লিনজিং অয়েল দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে পরে ওয়াটারবেজড ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হয়। এতে ত্বকের মেকআপ, ধুলা, ময়লা ও তেল সবকিছুই ত্বক থেকে খুব ভালোভাবে তুলে ফেলা যায়।
ক্লিনজিং অয়েল: এই ক্লিনজারগুলোতে অয়েল থাকে, যা ত্বকের গভীর থেকে তেল ও ময়লা তুলে আনে। তবে আপনার ত্বকে ব্রণের সমস্যা না থাকলে এ ধরনের ক্লিনজারগুলো নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এই ক্লিনজারগুলো ত্বকের রোমকূপ বন্ধ করে দেয় না এবং পরবর্তী সময়ে ব্রণের সমস্যাও হবে না। এ ছাড়া এই ক্লিনজার শুষ্ক ত্বকের জন্যও ভালো। কারণ, এই ক্লিনজারগুলো ত্বক পরিষ্কার করার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের ময়েশ্চারও বজায় রাখে।
ওয়াটারবেজড ক্লিনজার: এই ক্লিনজারগুলো ফোম, জেল, ক্রিম–জাতীয় হয়ে থাকে। ঘাম থেকে ত্বকে যে ময়লা জমে, তা ওয়াটারবেজড ক্লিনজারগুলো খুব ভালোভাবে তুলে আনে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী নানা রকম ওয়াটারবেজড ক্লিনজার বাজারে পেয়ে যাবেন।
টোনার: ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধোয়ার পরপরই একটি কটন বল দিয়ে বা আলতো হাতে টোনার ব্যবহার করতে হয়। টোনার কিন্তু ত্বকের ময়লা অথবা মেকআপ তুলতে সাহায্য করে না। তাহলে টোনারের কাজ কী? টোনারের কাজ হলো ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স রক্ষা করা। ক্ষারীয় ফেসওয়াশ বা পানির জন্য ত্বক থেকে যে নিউট্রিয়েন্ট হারিয়ে যায়, তা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে টোনার।
এ ছাড়া ত্বককে এমনভাবে প্রস্তুত করে, যেন ত্বকে সিরাম ও ময়েশ্চারাইজার ভালোভাবে শোষণ হয়। বিভিন্ন রকম টোনার আছে। যেমন কিছু টোনার আছে, যা ত্বককে হাইড্রেট রাখবে আবার কিছু টোনার আছে যেগুলো এক্সফলিয়েট করে ত্বকের মৃতকোষ তুলে ফেলতে সাহায্য করে। ত্বকের ধরন বুঝে টোনার কিনতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।