
জুমবাংলা ডেস্ক: করোনায় মৃত্যুশূন্য চট্টগ্রামে নতুন ১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের হার ০ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, এন্টিজেন টেস্ট, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর নয়টি ল্যাবে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৮২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ১২ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে শহরের ৪ জন ও চার উপজেলার ৮ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সীতাকুন্ডে ৪, রাউজানে ২ জন, হাটহাজারী ও সন্দ্বীপে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২ হাজার ২১৪ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৭৩ হাজার ৯৬১ ও গ্রামের ২৮ হাজার ২৫৩ জন।
গতকাল করোনায় আক্রান্ত শহর ও গ্রামের কোনো মারা যাননি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩২২ জন রয়েছে। এতে শহরের ৭২২ ও গ্রামের ৬শ’ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকালও সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে। এখানে ৫৩০টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের একটিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৩৯৮ জনের নমুনার মধ্যে শহরের এক ও গ্রামের ৪ জন পজিটিভ চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৮০ জনের নমুনায় একজনও আক্রান্ত মিলেনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের ২ জন জীবাণুবাহক শনাক্ত হন। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ২৯ জনের এন্টিজেন টেস্টে কোনো সংক্রমিত ব্যক্তি পাওয়া যায়নি। নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৩টি নমুনারই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৪৩ ও মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে পরীক্ষিত ১২ নমুনার একটিতেও ভাইরাসের উপস্থিতি ছিল না। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৭৩টি নমুনার মধ্যে গ্রামের একটি, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৭টি নমুনায় শহরের একটি ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ২৩ নমুনা পরীক্ষায় শহর ও গ্রামের একটি করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়। এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ও ল্যাব এইডে নমুনা পরীক্ষা হয়নি এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা পাঠানো যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে শেভরনে ০ দশমিক ১৯ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ২৫, চবি’তে ১১ দশমিক ৭৬, মা ও শিশু হাসপাতালে ০ দশমিক ২৭, এপিক হেলথ কেয়ারে ৫ দশমিক ৮৮ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং চমেকহা, এন্টিজেন টেস্ট, আরটিআরএল, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।