জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যুশূন্য সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১১ জন আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ০ দশমিক ৯০ ভাগ।
করোনা সংক্রান্ত চট্টগ্রামের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গতকাল ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর ১০ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ১১ জনের মধ্যে শহরের ৬ এবং চার উপজেলার ৫ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সীতাকু-ে ২ জন এবং হাটহাজারী, পটিয়া ও সাতকানিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১ লাখ ২ হাজার ২৫৬ জনে। এর মধ্যে শহরের ৭৩ হাজার ৯৮৮ ও গ্রামের ২৮ হাজার ২৬৮ জন।
গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে করোনায় শহর ও গ্রামের কেউ মারা যায়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৫ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭২৩ ও গ্রামের ৬০২ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ২৩০ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ২ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৮০টি নমুনার মধ্যে শহরের ৩টিতে জীবাণুর অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়। জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে ৫ জনের নমুনার মধ্যে একজন ভাইরাসবাহক হিসেবে শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে পরীক্ষিত ২৩টি নমুনায় কভিড পজিটিভ রোগি মিলেনি।
নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৩৫৭টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ১ ও গ্রামের ২টি এবং মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৮ নমুনায় শহর ও গ্রামের একটি করে আক্রান্ত পাওয়া যায়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩০৩, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৭৬, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১১, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৯ ও ল্যাব এইডে ২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এ দিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৮৭, চমেকে ৩ দশমিক ৭৫, আরটিআরএলে ২০, শেভরনে ০ দশমিক ৮৪ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং চবি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার ও ল্যাব এইডে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার চিহ্নিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।