জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে নতুন ২১৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সংক্রমণের হার ১৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এ সময়ে করোনাক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, মঙ্গলবার নগরীর আটটি ল্যাবে ১ হাজার ৫৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ২১৮ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৮৩ জন এবং নয় উপজেলার ৩৫ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ১১ জন, ফটিকছড়ি ও রাউজানে ৫ জন করে, রাঙ্গুনিয়ায় ৪ জন, সীতাকু-ে ৩ জন, পটিয়া, চন্দনাইশ ও সাতকানিয়ায় ২ জন করে এবং লোহাগাড়ায় ১ জন রয়েছেন। জেলায় মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ২৮ হাজার ৩৩০ জনে দাঁড়ালো। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২১ হাজার ৪৫৫ জন ও গ্রামের ৬ হাজার ৬২৩ জন।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামে করোনাক্রান্ত এক রোগী মারা গেছেন। মৃতের সংখ্যা এখন ৩৩৬ জন। এতে শহরের ২৪০ জন ও গ্রামের ৯৬ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৪৩ জন। মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ২৬ হাজার ৮৩৩ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ৩ হাজার ৭০১ জন এবং হোম আইসোলেশেনে থেকে ২৩ হাজার ১৩২ জন। হোম আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩০ জন ও ছাড়পত্র নেন ২৬ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ২২৬ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ৪৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৩ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ৪৫৭ জনের নমুনায় ৫১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ২৮৮ জনের মধ্যে ৬৫ জন করোনাক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৭৬ টি নমুনার ৯টিতে করোনার জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ২৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে ১৩টির রেজাল্ট পজিটিভ পাওয়া যায়।
নগরীর বেসরকারি তিন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ১২১টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ জন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১১২ জনের নমুনায় ২৭ জন এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ২৪ নমুনায় ৫ জন করোনাক্রান্ত শনাক্ত হয়। এদিন চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৬ দশমিক ৯৫, চমেকে ১১ দশমিক ১৬ শতাংশ, চবি’তে ২২ দশমিক ৫৭, সিভাসু’তে ১১ দশমিক ৮৪, আরটিআরএলে ৫৬ দশমিক ৫২ শতাংশ, শেভরনে ১২ দশমিক ৪০, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৪ দশমিক ১১ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।