জুমবাংলা ডেস্ক: বন্দর নগরী চট্রগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪৩ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণের হার ১১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এ সময় আক্রান্ত কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আজ প্রেরিত প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর আট ল্যাবরেটরিতে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের ৩৬৩ জনের নমুনায় নতুন ৪৩ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের ৩৫ ও ৩ উপজেলার ৮ জন।
জেলায় করোনায় মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৩০১ জন। এর মধ্যে শহরের ৯২ হাজার ৬৮৫ ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৬১৬ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ৫, সাতকানিয়ায় ২ ও সীতাকু-ে ১জন রয়েছেন।
গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৩ জন। এতে শহরের ৭৩৪ ও গ্রামের ৬২৯ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, সাপ্তাহিক বন্ধের দিনে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া সরকারি কোনো ল্যাবরেটরিতে করোনা পরীক্ষা হয়নি। এখানে ৭১ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৫ ও গ্রামের ৪ জনের দেহে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের ৩ ও গ্রামের ২ জন করে জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৪ জনের নমুনায় শহরের ৮ জনের শরীরে জীবাণুর উপস্থিতি মিলেছে। শেভরনে ৩০ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৭ জন করোনা শনাক্ত হন। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২১টি নমুনার একটিতেও ভাইরাসের প্রমাণ মিলেনি। মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১৭টি নমুনায় শহরের একটির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। এপিক হেলথ কেয়ারে ৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৮ ও গ্রামের ২ জনের দেহে সংক্রমণ চিহ্নিত হয়। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৬০টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ৩টিতে ভাইরাস শনাক্ত হয়।
এদিন, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, ল্যাব এইড, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। নমুনা সংগ্রহের কোনো কেন্দ্রে কারো এন্টিজেন টেস্ট হয়নি। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৫ দশমিক ২১ শতাংশ, সিভাসু’তে ১২ দশমিক ৬৭, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৩ দশমিক ৩৩, শেভরনে ২৩ দশমিক ৩৩, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ০, মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালে ৫ দশমিক ৮৮, এপিক হেলথ কেয়ারে ২২ দশমিক ৭৩ এবং মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৫ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।