লাইফস্টাইল ডেস্ক : নিরাময় অযোগ্য অসুখের চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার থেকে শুরু করে প্যারালাইসিস সারানোর উপায় বের করা এবং মৃত্যুর পরেও মস্তিষ্ককে বাঁচিয়ে রাখার রাস্তা খুঁজে পাওয়ার মত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা রয়েছে সদ্য বিদায় নেয়া ২০১৯ সালে। চলুন একনজরে দেখে নিই ২০১৯ সালে চিকিৎসাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য যেসব বিষয় আবিষ্কার হয়েছে। খবর বিবিসি বাংলার।
প্যারালাইসিস সারানোর উপায়
৩০ বছর বয়সী টিবল্ট বলছিলেন, ‘মনে হচ্ছিলো, এটি যেন চাঁদে প্রথম মানুষ হাঁটার মতন মূহুর্ত’।
দুই বছর আগে এক দুর্ঘটনায় প্যারালাইসিস বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যাবার পর তিনি যখন প্রথম তার হাত-পা নাড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন তখন তার কেমন লাগছিল সেকথাই বলছিলেন তিনি।
রোবো-স্যুট পড়ে ল্যাব বা পরীক্ষাগারের ভেতরে তার নড়াচড়া, বিশেষ করে হাঁটা, এখনো ঠিক স্বাভাবিকতার পর্যায় পড়ে না। কিন্তু গবেষকরা আশাবাদী যে, একদিন এই স্যুট বা পদ্ধতি হয়ত রোগীদের জীবনমান পাল্টাতে পারবে।
তবে, পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষ যেন তাদের হাত ও বাহু নাড়া-চাড়া করতে পারে সেজন্য ইতোমধ্যেই, তাদের শরীরের নার্ভ বা স্নায়ুগুলোকে রিওয়্যার করা হয়েছে বা পুন:সংযোগ দেয়া হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার অনেক রোগী এখন নিজে নিজেই খেতে পারছে, মেক-আপ করতে পারছে, তালায় চাবি ঘুরিয়ে খুলতে পারছে, টাকা গুণতে পারছে এবং কম্পিউটারে টাইপও করতে পারছে।
একজন রোগীর জন্য বানানো অতুলনীয় ওষুধ
মিলা মেকাভিচের চিকিৎসক রীতিমত অসাধ্য সাধন করেছেন। মস্তিষ্কের এক গুরুতর রোগে আক্রান্ত এক মেয়ে শিশুর জন্য সেই চিকিৎসক এমন একটি ওষুধ বানিয়েছেন যেটি শুধু তার জন্যই তৈরি করা হয়েছে এবং এর জন্য তিনি সময় নিয়েছেন এক বছরেরও কম।
মস্তিষ্কের দুরারোগ্য রোগ ব্যাটন ডিজিসে আক্রান্ত হয় ৮ বছর বয়সি মিলা। বোস্টনে মিলার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তার ডিএনএর পুরো জিনোম সিকোয়েন্স করে তার জেনেটিক কোড বের করে এবং কোন জেনেটিক মিউটেশনের কারণে তার এই রোগ হলো সেটিও তারা বের করেতে সক্ষম হন।
তার জেনেটিক মিউটেশনের ত্রুটি খুঁজে বের করতে সফল হবার পর চিকিৎসকরা মিলাকে সুস্থ করার বিষয়ে আশাবাদী হয়ে ওঠেন। এরপর তারা একটি বিশেষ ওষুধ তৈরি করে এবং মিলার ওপর পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করেন।
পাশাপাশি, পরীক্ষাগারে কিছু প্রাণীর দেহেও ওষুধটি ব্যবহার করা হয়। পরে ওষুধটি ব্যবহারের জন্য মার্কিন ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন বা খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের অনুমতিও পায়।
সাধারণত কোনো একটি ওষুধ ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রোগীদের হাত পর্যন্ত পৌঁছাতে-পৌঁছাতে সময় লাগে অন্তত দশ-পনেরো বছর। কিন্তু মার্কিন চিকিৎসকদের দলটি মিলার জন্য এক বছরের কম সময়ের মধ্যেই ওষুধ তৈরিতে সক্ষম হন।
মিলা যদিও এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়নি কিন্তু এখন আগের চেয়ে বহু-গুণ ভালো রয়েছে।
জিন-সাইলেন্সিং ওষুধ
নতুন ধরনের একটি ওষুধ— যেটিকে ডাকা হচ্ছে জিন-সাইলেন্সিং- নিরাময় অযোগ্য অসুখের চিকিৎসা করতে সমর্থ হয়েছে। জিন হচ্ছে শরীরের ডিএনএ এর অংশ। জিনের মধ্যেই থাকে প্রোটিন যেমন হরমোন, এনজাইমের মতন বিভিন্ন প্রয়োজনীয় রসদের ব্লুপ্রিন্ট বা নীলনকশা।
আমাদের ডিএনএ সেলের নিউক্লিয়াসের ভেতরে বন্দী এবং সেলের প্রোটিন উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন। যেজন্য আমাদের মানবদেহ শর্ট স্ট্র্যান্ড বা ক্ষুদ্রাকৃতির জেনেটিক কোড বা বংশানুক্রম তথ্যাদি ব্যাবহার করে। বার্তাবাহক এই জেনেটিক কোডের নাম আরএনএ। কিন্তু নতুন এই জিন-সাইলেন্সিং ওষুধটি বার্তাবাহক আরএনএকে বিনাশ করে দেয়।
এই ওষুধের বদৌলতেই, পরফিরিয়ায় আক্রান্ত সু বারেল এখন তার তীব্র ব্যথার আক্রমণ থেকে মুক্ত। এছাড়া ভিনসেন্ট ও নীল নিকোলাসও এমিলোইডোসিস রোগের চিকিৎসা হিসেবে এখন এই জিন-সাইলেন্সিং ওষুধ সেবন করছেন।
রোগ সারাতে ভাইরাস
বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের একটা সমন্বয় বা ককটেলের বদৌলতেই প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল ইসাবেল কার্নেল হোল্ডাওয়ে। গুরুতর এক ব্যাকটেরিয়ার কারণে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয় এই কিশোরী। তখন তার বাঁচার আশা ছিল এক শতাংশেরও কম।
তার চামড়ায় পুঁজে ভরা কালো রঙের বড়-বড় ক্ষত দেখা দিচ্ছিল এবং সেগুলো থেকে তার শরীরে ইনফেকশন বা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছিল। তার লিভার অকার্যকর হয়ে পড়ছিল এবং তার শরীরের ভেতরে ব্যাকটেরিয়া জাঁকিয়ে বসেছিল।
তখন তার শরীরের ব্যাকটেরিয়াদের বিনাশ করতে গ্রেট ওরমোন্ড স্ট্রিট হসপিটালের ডাক্তাররা ফেজ থেরাপি বলে একধরনের ভাইরাস ব্যাবহার করে। ফেজ থেরাপি তখনো ছিল অপরীক্ষিত।
ফেজ থেরাপি কখনোই মূলধারার চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়নি। তাছাড়া, এন্টিবায়োটিক আবিষ্কারের পর ফেজ থেরাপি যেন অনেকটা পিছনে পড়ে থাকা বিষয়। কিন্তু সুপারবাগ— যেটি কিনা এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী শক্তিশালী জীবাণু— দেখা দেয়ার পর থেকে এখন আবার ফেজ-থেরাপি নিয়ে মনোযোগ বাড়ছে। ইসাবেলের ঘটনাটিও তেমনি একটি ঘটনা।
নতুন পথে ক্যান্সার ওষুধ
বেলফাস্টের দুই বছর বয়সী কন্যা শিশু শার্লট স্টিভেনসন। ক্যান্সারের নতুন আবিষ্কৃত বৈপ্লবিক ওষুধ ব্যবহার করে সে উপকৃত হয়েছে। লেরোটেকটিনিব নামের ওষুধটি এখন ইউরোপ জুড়ে ব্যাবহারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এই ওষুধটি এমনভাবে বানানো হয়েছে যেটি জেনেটিক অস্বাভাবিকতা আছে এমন টিউমারগুলোকে লক্ষ্য করে। শার্লটের শরীরের বিভিন্ন অংশ যেমন সারকোমা বা সংযোজক কোষ, মস্তিষ্ক, কিডনি, থাইরয়েডসহ এবং অন্যান্য ক্যান্সার পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া ক্যান্সারের ইমিউনোথেরাপি ইতোমধ্যেই অন্যান্য সাফল্য অর্জন করেছে।
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়তে রোগীর ইমিউন সিস্টেম বা নিজের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই ওষুধ ব্যবহৃত হয়। ত্বকের ক্যান্সার বা মেলানোমায় আক্রান্ত অর্ধেক রোগীই এখন সুস্থ হয়ে উঠছেন। অথচ মাত্র এক দশক আগেও তা ছিল দুরারোগ্য ব্যাধি।
বছর দশেক আগেও বাস্তবতাটা ছিল এমন যে, মেলানোমা বা ত্বকের ক্যান্সার ধরার পড়ার পর ৫ বছর হবার আগেই বেশির ভাগ রোগী মারা যেত। এমনকি কয়েক মাসের মধ্যেই বহু মানুষ মারা যেত। আর মেলানোমা ধরা পড়ার পর ৫ বছর বেঁচে থাকার সংখ্যাটি ছিল প্রতি ২০জনে মোটে একজন।
ডিমেনশিয়া ঠেকাতে নতুন ওষুধ
আলঝেইমার বা স্মৃতিভ্রমের মতন রোগের তীব্রতাকে কমিয়ে দিতে পারে এমন ওষুধ আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন একটি ওষুধ-প্রস্তুতকারী কোম্পানি।
এডুকেনাম্ব নামের এই ওষুধটি মানুষের মস্তিষ্কের ভেতরে জমা বিষাক্ত প্রোটিন দূর করতে পারে। গত অক্টোবরে এই ওষুধের ঘোষণাটি দেয়া হলে সেটি বিস্ময় তৈরি করেছিল।
বায়োজিন কোম্পানির দেয়া লিখিত সেই ঘোষণায় বলা হয় যারা নিয়মিত সর্বোচ্চ মাত্রায় এই ওষুধ সেবন করছে তারা স্মৃতি ও শব্দ মনে রাখাসহ দৈনন্দিন কাজ যেমন বাজার-সদাই করা, কাপড়-চোপড় ধোওয়া এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজও ভালোভাবে করতে পারছে।
এই ওষুধটিকে এখনো বাজারে ব্যাবহারের অনুমতি দেয়া হয়নি। যদি ওষুধটি অনুমোদন পায় তাহলে আধুনিক ওষুধের ইতিহাসে সেটি হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
নতুন ধরনের ডিমেনশিয়া
ইতোমধ্যে বিশেষজ্ঞরা নতুন আরেক প্রকারের ডিমেনশিয়া বা স্মৃতি ভুলে যাওয়া রোগের সন্ধান দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগে হয়তো রোগটিকে ভুলভাবে নিরূপণ করা হচ্ছিল। ডিমেনশিয়া হচ্ছে মস্তিষ্কের অনেক রোগের উপসর্গ এবং স্মৃতি ভুলে যাওয়াটাই এর প্রধান লক্ষণ।
আলঝাইমার হলো ডিমেনশিয়ার সবচেয়ে কমন বা পরিচিত ধরন। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের ডিমেনশিয়া রয়েছে যেমন ভাস্কুলার ডিমেনশিয়া, ডিমেনশিয়া উইথ লিউই বডিস, ফ্রন্ট টেম্পোরাল ডিমেনশিয়া, পার্কিন্সন ডিজিস ডিমেনশিয়া ইত্যাদি।
এই তালিকায় এখন নতুন যুক্ত হলো নাম লিম্বিক-প্রিডোমিনেন্ট এজ রিলেটেড টিডিপি-৪৩ এনসিফেলোপেথি বা সহজভাবে বললে লেট।
যুক্ত যমজদের আলাদা করা
মাথায় জোড়া লাগানো ছিল দুই যমজ শিশু সাফা ও মারোয়া। তারা কখনোই পরস্পরের মুখ দেখতে পারেনি।
এইরকম মাথা জোড়া লাগানো শিশু কত জন্ম নেয় তার কোনো অফিশিয়াল তথ্য না থাকলেও জানা যায়, আনুমানিক প্রতি আড়াই মিলিয়ন শিশু জন্ম নিলে হয়ত একটি ঘটনা এমন হতে পারে। অবশ্য, এসব ক্ষেত্রে জোড়া লাগানো শিশুরা একদিনের বেশি বাঁচে না।
সাফা ও মারোয়াকে আলাদা করতে মাসের পর মাস ধরে কাজ করেছে হাসপাতালের শতাধিক মানুষ এবং করতে হয়েছে অনেকগুলো অপারেশন।
মৃত্যুর পরেও জীবিত শূকরের মস্তিষ্ক
২০১৯ সালে যেন অস্পষ্ট হয়ে উঠেছে জীবন আর মৃত্যুর বিভেদ রেখা। একটি শূকরকে জবাই করার প্রায় ঘণ্টা চারেক পর তার মস্তিষ্কের একটি অংশকে পুনরায় জীবিত করা সম্ভব হয়েছে।
গবেষণা বলছে, মস্তিষ্কের কোষের মৃত্যু প্রক্রিয়া আটকে দিয়ে মস্তিষ্কের কিছু অংশের যোগাযোগ পুনরায় স্থাপন করা সম্ভব হয়েছিল। শিরশ্ছেদ করা মস্তিষ্কে কৃত্রিম রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে এই পুনরুজ্জীবন ঘটানো হয়।
মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হবার মিনিট কয়েকের মধ্যেই মস্তিষ্কের অবনমন শুরু বলে যে কথাটি বিশ্বাস করা হতো, নতুন এই বিস্ময়কর আবিষ্কার সেই কথাটিকে চ্যালেঞ্জ করে এবং মস্তিষ্কের চিকিৎসায় নতুন পথ খুলে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ডিএনএ সম্পাদনা করার নয়া প্রযুক্তি
ডিএনএতে থাকা যে কোডের কারণে নানান রোগ-বালাই হয় সেগুলো ৮৯ শতাংশ পর্যন্ত সারানো সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন এই প্রযুক্তির নাম প্রাইম এডিটিং। প্রাইম এডিটিংকে জেনেটিক ওয়ার্ড প্রসেসর বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
প্রায় ৭৫ হাজার ভিন্ন-ভিন্ন মিউটেশন রয়েছে যেগুলো মানুষের দেহে রোগের কারণ হয়। গবেষকরা বলছেন, প্রাইম এডিটিং দিয়ে সম্পাদনার মাধ্যমে দশটার মধ্যে ৯টাই সারিয়ে তোলা সম্ভব।
মানুষের চিন্তাকে কণ্ঠদান
বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের ব্রেইন ইমপ্ল্যান্ট পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন যেটি মানুষের মনকে পড়তে পারে এবং সেটিকে কথায় রূপান্তর করতে পারে।
এই পদ্ধতিতে প্রথমে একটি ইলেক্ট্রোড মানুষের মস্তিষ্কে স্থাপন করা হয়। এই ইলেক্ট্রোডের কাজ হচ্ছে মানুষের ব্রেন থেকে ইলেক্ট্রনিক সিগন্যাল বা বৈদ্যুতিক নির্দেশনা গ্রহণ করে সেটি ঠোঁট, গলা, কণ্ঠনালী ও চোয়াল পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া।
তারপর শক্তিশালী কম্পিউটারের মাধ্যমে এই মুখ ও গলার মুভমেন্ট বা নড়াচড়া প্রত্যক্ষ করে বিভিন্ন শব্দ উৎপন্ন করবে। এটি হয়তো নির্ভুল নয়।
সানফ্রান্সিসকোর ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার একটি টিম জানিয়েছে এই প্রযুক্তি মানুষকে, বিশেষ করে যারা কোনো রোগের কারণে কথা বলার শক্তি হারিয়েছে, আবার কথা বলার সুযোগ ফিরিয়ে দিতে পারে।
সিগারেট ছাড়তে ই-সিগারেট
এবছর ই-সিগারেটকে ব্যাপক নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। ই-সিগারেট ব্যাবহারের ফলে ফুসফুসের জটিলতা-জনিত কারণে এবছর যুক্তরাষ্ট্রে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ২ হাজার ৪০০ জন আর এর মধ্যে মৃত্যু বরন করেছে ৫০জন। এক কিশোর ই-সিগারেট টানতে গিয়ে ফুসফুসে দম আটকে মরার অবস্থা তৈরি হয়।
তবে, বিশেষজ্ঞরা ই-সিগারেটকে প্রকৃত সিগারেট বা তামাকের চেয়ে নিরাপদ বলে বর্ণনা করছেন। পাশাপাশি, ই-সিগারেট খেলে সিগারেট বা ধূমপান সহজে ছাড়া সম্ভব বলেও মনে করা হয়।
দি নিউ ইংল্যান্ড মেডিকেল জার্নালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপান ছাড়ার পন্থা হিসেবে যারা ই-সিগারেট ধরেছিল তাদের ১৮ শতাংশই সফল হয়েছে। কিন্তু যারা প্রথাগতভাবে নানান পন্থা অবলম্বন করে ধূমপান চাড়তে চাইছিল তাদের মধ্যে এই মাত্রা ছিল ৯.৯ শতাংশ।
আরো যেসব চোখ-ধাঁধানো খবর
* মায়ের গর্ভাবস্থাতেই শিশুদের হার্ট বা হৃৎপিণ্ডের একটি ছবি প্রকাশ করে গবেষকেরা সাড়া জাগিয়েছেন।
* হামের কারণে শরীরের ইমিউন সিস্টেমের ওপর এমনি ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে যা ইনফেকশন বা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষেত্রে মানুষের শরীরকে দুর্বল করে দেয়।
* ইটিং-ডিজঅর্ডার বা খাবার নিয়ে ঝামেলা বিষয়ে এনোরেক্সিয়া নামে যে অসুখ রয়েছে সেটির বাস একই সঙ্গে শরীরে এবং মনে। ডিএনএতে কিছু পরিবর্তনের ফলে এটি হয়।
* বিজ্ঞানীরা বিশ্লেষণ করে মানুষের সহ্যশক্তির সীমানা নির্ধারণ করেছেন। তাদের মতে, মানুষের সহ্য-ক্ষমতা তিন হাজার মাইল দৌড়ের সমান, যা টুর ডে ফ্রান্স এবং অন্যান্য অভিজাত ইভেন্টের সমান।
* অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কলা, বাদাম ও ছোলার সমন্বয়ে বানানো ডায়েটে অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
* মানব-মস্তিষ্কের উপরে করা নতুন এক গবেষণার তথ্য বলছে, সারা জীবন ধরে মানুষের মস্তিষ্কের নতুন সেল তৈরি হতে থাকে।
* হার্ট অ্যাটাকের পরে স্টেম সেলের যে ক্ষতি হয় সেগুলোকে সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রে পাম্পিং প্যাচ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রোখে।
* ম্যালেরিয়া ছড়ায় যে মশা, সেটিকে নিধনে একটি ফাঙ্গাস বা ছত্রাক— যেটি জেনেটিক্যালি মটিফায়েড, সেটি স্পাইডার টক্সিন উৎপন্ন করে— ভূমিকা রাখতে পারে।
* এটি হয়তো বিস্ময়কর নাও ঠেকতে পারে, কিন্তু আমরা যে খাবার খাই এর ফলে ১১ মিলিয়ন মানুষ প্রতিবছর দ্রুত মৃত্যুবরণ করছে।
* বিজ্ঞানীরা ক্যান্সারকে এমনভাবে ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র অংশ বিভক্ত করে এর দুর্বলতাগুলো আত্মস্থ করেছেন এবং ক্যান্সার চিকিৎসার নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন।
*স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপন করার মাধ্যমে যে কেউ তার জীবনে ডিমেনশিয়া হবার আশঙ্কা প্রায় তিন ভাগ কমিয়ে ফেলতে পারে। সূত্র: বিবিসি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।