চিনি, মিষ্টি বা শর্করা নিয়ে ডাক্তারদের ক্রমাগত আপত্তির মুখে এখন মানুষ এসব খাবার পরিহার করে চলতে চায়। মানুষ মনে করে টাইপ টু ডায়াবেটিকস, হৃদরোগ সহ নানা জটিলতার সম্মুখীন হতে হবে। তাই এসব খাদ্যের প্রতি মানুষের দিন দিন আগ্রহ কমে যাচ্ছে।
তবে শর্করা যে সবসময় ক্ষতিকর বিষয়টি তা নয়। আমাদের শরীরের জন্য তা দরকারও বটে। আর মিষ্টি কীভাবে মানুষের জন্য ক্ষতিকর তা বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করেও ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারেনি। এ নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খেলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিকস সহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
তবে শুধু চিনি বা মিষ্টির উপর সব দোষ চাপিয়ে দেওয়া যৌক্তিক না। কেননা স্বাস্থ্যঝুকির জন্য শুধু এসব খাবার দায়ী নয়। চিনি ও মিষ্টি শরীরে শক্তি যোগায়। শক্তির গুরুত্বপূর্ণ উৎস এটি। তবে সমাজে চিনি ও মিষ্টি নিয়ে অনেক ধরনের কথা প্রচলিত আছে।
বাঁচতে হলে চিনি-মিষ্টি পরিহার করুন। চিনি বেশি খেলে ওজন বাড়ে। এ ধরনের কথা প্রচলিত আছে। চিনির পরিমাণ খাদ্যে খুব বেশি হলে ক্যালরি বাড়বে। আর ক্যালরি বাড়লে ওজন বাড়তেই পারে। এটা সব খাদ্যের বেলায় প্রযোজ্য। শুধু চিনি ও মিষ্টি নয়।
চিনি ও মিষ্টি একেবারেই বন্ধ করে দেওয়ার দরকার নেই। শরীরের জন্য যতটুকু চিনি দরকার ততটুকু নিতে হবে। আবার অতিরিক্ত চিনি ও মিষ্টি পরিহার করা শ্রেয়। উচ্চ ক্যালরি তৈরি হলে শরীরে মেদ জমে। এটা চিনি বাদে অন্য খাদ্যের মাধ্যমেও সম্ভব। মিষ্টি পরিহার করলেই ডায়াবেটিকস হবে না এটাও বলা যাবে না।
যারা বেশি সফট ড্রিংক পান করে কিন্তু শরীরচর্চা করে না তাদের নানা রোগ হতে পারে। এটা চিনি বা মিষ্টি বাদেও হতে পারে। বয়স্ক মানুষের জন্য শর্করা উপকারে আসে। যারা শরীর চর্চা বেশি করেন তাদের জন্য মিষ্টি ও চিনি কোন সমস্যা না। সাদা চিনি ও লাল চিনির যেকোন একটি আপনি গ্রহন করতে পারেন।
আপনি সুষম খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস করুন। চিনি-মিষ্টি বাদ দেওয়ার দরকার নেই। তবে অতিরিক্ত মিষ্টি বা চিনি না খেয়ে পরিমিত খান। এটাই সবথেকে ভালো সমাধান।
মানুষ কেন সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।