জুমবাংলা ডেস্ক : যশোর বাড়িতে চুরির ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে বোমা হামলার শিকার হয়েছেন প্রতিবাদকারীরা। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দুপুরে শহরের খাদ্য গুদামের দক্ষিণপাশে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে। বিস্ফোরিত বোমার স্প্লিন্টারে খবির শিকদার নামে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, ওই এলাকার তৈয়বুর রহমান তার শ্যালক লিটনের বাড়িতে থাকেন। শুক্রবার রাতে তার বাড়ির গেট টপকে ভেতরে ঢুকে অজ্ঞাত চোররা সোয়া এক ভরি সোনার গয়না, নগদ ২০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোনসেট নিয়ে যায়।
এদিকে ফুড গোডাউনের পাশের গলিতে শনিবার সকাল ৭টার দিকে আড্ডা দিচ্ছিল টিবি ক্লিনিক এলাকার রইচ উদ্দিনের ছেলে আল আমিন ওরফে চোর আল আমিন, দয়ালের ছেলে শাহজাহান এবং একই এলাকার হানিফ। ওই সময় তৈয়বুরের প্রতিবেশি মৃত আবুল হাশেমের ছেলে লিটন গলির মধ্যে কেন বসে আছে জানতে চান ওই তিন জনের কাছে। সে সময় ওই তিনজন লিটনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গালিগালাজ করে। ওই সময় পাশের বাড়ির শাহিনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস মনি কাছে গিয়ে আল আমিনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ওই বাড়িতে তুই চুরি করেচিস। কারণ মাস তিনেক আগে আমার বাড়ি থেকে একটি মোবাইল চুরি হয়েছিল। লোকজন দেখেছে ওই মোবাইল ফোনসেট তুই চুরি করে নিয়ে গেছিস।
এই কথা শুনে আল আমিন আরো ক্ষিপ্ত হয় এবং তাকে মনিকে মারপিট করে। ওই সময় মনির দেবর শাহীন ঠেকাতে গেলে শাহীনকে ছুরিকাঘাতে জখম করে। পরে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আল আমিন ও তার সহযোগীরা চলে যায়। শাহীনকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর পর বেলা দেড়টার দিকে ফের আল আমিন, শাহজাহান, হানিফসহ ১৫/২০ জন শাহীনের বাড়িতে হামলা করতে যায়। দূর থেকে তারা দুটি বোমা ছুড়ে মারে। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে একটি পাশের রবিউল ইসলাম রবির বাড়িতে পড়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। আর একটি পাশের ফটিক মন্ডলের বাড়িতে পড়ে। কিন্তু সেটির বিস্ফোরণ হয়নি। পরে কোতোয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান, পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম, পরিদর্শক (অপারেশনস) আহসান উল্লাহ চৌধুরী, এসআই হায়াৎ মাহমুদ, এসআই এসএম শামীম আক্তারসহ একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা সেখানে গিয়ে অবিস্ফোরিত বোমাটি উদ্ধার করেন।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, আল আমিন একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। টিবি ক্লিনিক এলাকায় নানা অপরাধের সাথে সে জড়িত। এলাকার লোকজন তার বিরুদ্ধে কিছু বলতে সাহস পায় না। সকাল থেকে ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী টিবি ক্লিনিক বিল পাড়ায় বসে বোমা তৈরি করে। রবির বাড়িতে সন্ত্রাসী শাহজাহান বোমাটি ছোড়ে। বোমার আঘাতে রবির ছোট ভাই খবির শিকদার সামান্য আহত হন। ঘটনার সময় তিনি উঠানে দাড়িয়ে ছিলেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ সেখানে যায়। এলাকার লোকজনের কাছে অভিযোগ শোনা হয়েছে। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। সন্ত্রাসীদের আটকের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।