হেমন্তের আবহাওয়ায় বেড়ে চলা শুষ্কতা চুলের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে। এজন্য এসময় প্রয়োজন চুলের বিশেষ যত্ন। হেমন্ত আসা মানেই শীত শীত আমেজ। প্রকৃতিজুড়ে চলে শীতকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি। এ সময় আবহাওয়া ধীরে ধীরে শুষ্ক হতে শুরু করে। এর প্রভাব পড়ে আমাদের চুলেও। তাই এমন দিনে চুলের দরকার বাড়তি যত্ন।
ডায়েটেরও রয়েছে ভূমিকা
আমরা যা খাই, পান করি তার প্রভাব পড়ে আমাদের চুলেও। অর্থাৎ আমাদের ডায়েট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আমাদের চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে। এ সময় বেশি পানি পান করুন। সবুজ শাকসবজি, নানান ফল এ সময়ে হতে পারে আপনার চুলের বন্ধু। কারণ, এসব খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণ আমিষ, আঁশজাতীয় পদার্থ ও গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন থাকে, যা চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে।
চুল ট্রিমিংয়েরও গুরুত্ব রয়েছে
গরমের দিনে চুল আমাদের কাছে একটি বাড়তি যন্ত্রণা মনে হয়। তাই গরমে অনেকেই চুল ছোট করেন বা চুল ছাঁটেন। কিন্তু শীতের সময় চলে এলে কেউ আর চুল ছাঁটা বা কাটার কথা ভাবেন না। কিন্তু এ সময় চুল ট্রিম করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি চুলকে আগা ফেটে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচায়। চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
তাপ থেকে চুলকে বাঁচান
অনেকে চুলের স্টাইলিংয়ের জন্য চুল স্ট্রেইট, কার্ল, ব্লো ড্রাই ইত্যাদি নানান সরঞ্জাম ব্যবহার করেন। এসব স্টাইলিং সরঞ্জাম মূলত চুলকে গরম করে নানান আকার দিতে সাহায্য করে যা চুলের জন্য ক্ষতিকর। তাই চুলে এসব পণ্যের ব্যবহার কমান। আর ব্যবহারের আগে অবশ্যই সিরাম বা তাপরোধী স্প্রে ব্যবহার করুন। আবার অনেকে গরম পানিতে গোসল করে থাকেন। গরম পানি চুলকে শুষ্ক করে, চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে। এ বদলে চুল ধুয়ে নিন ঠান্ডা বা ঈষদুষ্ণ পানিতে।
তেলের গুণ কাজে লাগান
শীতকালে খুশকি, চুলকানিসহ নানান সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এর প্রধান কারণ মাথায় ত্বক শুষ্কতা। এ সমস্যার সমাধানে চুলে তেল দেওয়ার মতো ঘরোয়া পদ্ধতিই সবচেয়ে কার্যকর। সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন তেল দিন। তেল একটু গরম করে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এতে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলে আলাদা আর্দ্রতা জোগাতে তেল দারুণভাবে কাজ করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।