জুমবাংলা ডেস্ক : চেয়ারম্যান ও ৬ পরিচালকসহ সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৮ জনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যাক্তিরা হলেন- সোনাল লাইফ ইন্সুরেন্সের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস, কোম্পানির পরিচালক ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া, মোস্তফা কামরুস সোবহান, শাফিয়া সোবহান চৌধুরী, তাসনিয়া কামরুন অনিকা, ফজলুতুননেসা, নূর-ই-হাফজা ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মীর কাশেম বিন আমান।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, এসব ব্যক্তিরা একে অপরের সহায়তায় প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে জাল চুক্তিনামা তৈরি করে বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের তহবিল থেকে মোট ১৮৭ কোটি ৮৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৬ টাকা উত্তোলন করেন। পরে বিভিন্ন লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ওই অর্থ তাদের নামে বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধে অভিযোগে দুদকে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।
গত ২০ আগস্ট তাদের ৬০ দিনের জন্য বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ২২ অক্টোবর শেষ হবে। মামলাটি তদন্তকালে গোপন সূত্রে জানা যায় যে, মামলার আসামিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সমূহ সম্ভবনা রয়েছে বিধায়, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা একান্ত প্রয়োজন বলে জানানো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।