জুমবাংলা ডেস্ক : ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকান্ডের ভিডিয়ো ফাঁস হওয়ার পর পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় এক মাদরাসাশিক্ষক গত প্রায় ৫ মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ও পলাতক রয়েছেন। ওই শিক্ষক মো. হাফিজুর রহমান উপজেলার তাফালবাড়িয়া হাসানিয়া আলিম মাদরাসার কৃষি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক। তাফালবাড়িয়া গ্রামে নাজমুল হোসেনের বাড়িতে লজিং থাকতেন তিনি।
জানা যায়, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ২০ নভেম্বর মাদরাসা ভবনের ৩য় তলার একটি কক্ষে দাখিল পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কাজের ভিডিয়ো ফাঁসের পর থেকে কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে আত্মগোপনে চলে যান শিক্ষক হাফিজুর রহমান। গুঞ্জন রয়েছে, ওই শিক্ষক মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে কর্তৃপক্ষ ও সেই ছাত্রীর পরিবারকে ম্যানেজ করেছেন। যে কারণে এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পরিবার থেকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজুর রহমানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
তবে ওই শিক্ষক যে অনুপস্থিত তা মানতে নারাজ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর একেএম আবুল খায়ের। তিনি বলেন, ‘ওই শিক্ষক অনুপস্থিত এটা সত্য নয়। সে ২ এপ্রিল মঙ্গলবারও আমার অফিসে আসছিল। তাকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিতে দেওয়া হচ্ছে না।’
শিক্ষকের অনৈতিক কাজের বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে তার কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। এ ছাড়া ভিডিয়োটি এডিট করে বানানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মহিব্বুল্লাহ বলেন, ‘ভিডিয়োটি ফাঁস হওয়ার পর শিক্ষক হাফিজুর রহমান কর্মস্থলে অনুপস্থিত ও পলাতক রয়েছেন। তাকে দুবার শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে। খুব শিগগিরই তৃতীয়বার শোকজ নোটিস পাঠানো হবে।’
শিক্ষকের অনৈতিক কাজের বিষয়টি শিক্ষা কর্মকর্তাকে কেন জানাননি জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
মাদরাসার সভাপতি মো. মঞ্জুরুল হক বার্ধক্যজনিত কারণে গুছিয়ে কথা বলতে পারেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ূম বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।