জুমবাংলা ডেস্ক : বরগুনার আমতলীতে চতুর্থ বিয়েতে বাধা দেয়ায় পিটিয়ে ছেলের হাত ভেঙ্গে দিয়েছেন শহীদুল ইসলাম মুন্সি নামের এক বাবা। তার ছেলের নাম হিরন মুন্সি। বাবার মারপিটের পর স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমতলী উপজেলার নাচনাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ২৫ বছর আগে উপজেলার নাচনাপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম মুন্সির সাথে কহিনুর বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের ২৫ বছরে ওই দম্পতির ঘরে তিন সন্তানের জন্ম হয়। আছে নাতি-নাতনিও। কিন্তু গত পাঁচ বছর পূর্বে শহীদুল মুন্সি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ওই বিয়ে বেশি দিন টিকেনি। গত দুই বছর আগে আবার তৃতীয় বিয়ে করেন। এক বছরের মাথায় তৃতীয় স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বর্তমানে তিনি চতুর্থ বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
রোববার রাতে চতুর্থ বিয়ের জন্য প্রথম স্ত্রী কহিনুরের সম্মতি চান। এতে বাধ সাধেন স্ত্রী ও ছেলে। চতুর্থ বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে শহীদুল মুন্সি ছেলে হিরন মুন্সিকে পিটিয়ে ডান হাত ভেঙে দেন। ছেলেকে রক্ষায় মা কহিনুর বেগম এগিয়ে গেলে তাকেও পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। রাতেই স্বজনরা ছেলে হিরন মুন্সি ও মা কহিনুরকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত ছেলে হিরন মুন্সি বলেন, বাবা তিনটি বিয়ে করেছেন। আবার চতুর্থ বিয়ে করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমি ও মা বাধা দেয়ায় আমাকে পিটিয়ে ডান হাত ভেঙে দেন এবং মাকে অনেক মারধর করেন।
প্রথম স্ত্রী কহিনুর বেগম বলেন, মান ইজ্জত আর রইলো না। নাতি-নাতনির মধ্যে স্বামী একের পর এক বিয়ে করছেন। চতুর্থ বিয়েতে রাজি না হওয়ায় আমাকে মারধর করেন। ছেলেকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে।
শহীদুল ইসলাম মুন্সি বলেন, ছেলে হিরন মুখে মুখে তর্ক করায় কয়েকটি চড়-থাপ্পড় মেরেছি।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: সমুন খন্দকার বলেন, মা ও ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।