স্পোর্টস ডেস্ক : বড়দের উইম্বলডন শিরোপা জিতেছেন সার্বিয়ান মহাতারকা নোভাক জকোভিচ। আর জুনিয়র উইম্বলডনের শিরোপা উঠল এক বাঙালি কিশোরের হাতে। যিনি আবার নোভাক জকোভিচের অন্ধভক্ত। সমীর বন্দ্যোপাধ্যায় নামের ওই কিশোরের বাবা ভারতের আসামের বাসিন্দা ছিলেন। মা বিশাখাপত্তমের বাসিন্দা। কাজের সুবাদে প্রায় ৩৫ বছর আগে সমীরের বাবা-মা আমেরিকা পাড়ি জমান। সেখানেই সমীরের জন্ম। উইম্বলডন জেতা তো অনেক দূরের কথা, সে যে ফাইনাল খেলবে, সেটা স্বপ্নেও ভাবেনি।
সের কোর্টে ফাইনালে সমীরের সামনে প্রতিপক্ষ ভিক্টর লিলোভ একেবারে খড়কুটোর মতো উড়ে গেছে। মাত্র ১ ঘণ্টা ২২ মিনিটের মধ্যে ফলাফল ৭-৫, ৬-৩। ম্যাচ শেষে সমীর বলেন, ‘ফাইনাল পৌঁছে যাওয়ার পরেও উইম্বলডন জিততে পারব, সেটা ভাবিনি। ঘাসের কোর্টে এই প্রথমবার খেলতে নেমেছিলাম। তাই ভেবেছিলাম দু-একটা ম্যাচ হয়তো জিততে পারব। সেখানে আমি উইম্বলডন জিতে ফেললাম! এরপর আমার জীবন কোন দিকে বাঁক নেবে সেটা আমি নিজেও জানি না।’
সমীর তার ট্রফিটা নিজের বাড়ির মাঝখানে রেখে দেবেন। যাতে সব সময় তার চোখের সামনে থাকে। শুধু খেলা নয়, পড়াশোনা থেকে শুরু করে জীবনের সব কাজে যাতে এই ট্রফিটা উজ্জীবিত করে, সেই চেষ্টাই থাকবে। ছেলের কীর্তি নিয়ে সমীরের বাবা বলেন, ‘আমরা দুই ভাই খেলাধুলায় বেশ নামডাক করেছিলাম। দারুণ টেনিস ও গলফ খেলতাম। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলতে পারিনি। তাই সমীরের জন্য সব উজাড় করে দিয়েছি। মাত্র ছয় বছর বয়সে ওর র্যাকেটের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়। যা এখনো টিকে আছে।’
সমীরের চাচা কণাদ বন্দ্যোপাধ্যায় এই ইতিহাস গড়ার দৃশ্য নিজে চোখে দেখেছেন। সেই কারণে নিজের চাচাকে ‘পয়মন্ত’ বলে ভাবছেন সমীর। খেলার শেষে উইম্বলডনের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সমীর বলে, ‘টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে আমার কোচ কার্লোস এস্তেভানের স্ত্রী কভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাই শেষ পর্যন্ত চাচাকে সঙ্গে নিয়ে উইম্বলডন খেলতে এসেছিলাম। চাচা তো আর পেশাদার কোচ নন। তবু শেষ মুহূর্তে আমাকে সঙ্গ দিতে চলে আসেন। তাই এখন থেকে কাকাকে নিয়েই সব জায়গায় খেলতে যাব।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।