ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নানা উদ্যোগ ও কর্মপরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ডিএনসিসির নগর ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, জলাবদ্ধতা কমানোর জন্য ডিএনসিসি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জলাবদ্ধতা প্রবণ স্থান চিহ্নিতকরণ, হটস্পট ম্যাপিং ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ।
প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ আরও জানান, ১০টি অঞ্চলে ২০টি কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে, যারা নিয়মিত পিট, ক্যাচ পিট ও ড্রেনেজ লাইন পরিষ্কার করছেন। এর ফলে জলাবদ্ধতা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। এছাড়া ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ২২১.৮৫ কিলোমিটার স্ট্রম ওয়াটার ড্রেন এবং ১.৫৪৭ কিলোমিটার বক্স কালভার্ট পরিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে নতুন ড্রেনেজ লাইন নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে এবং এটি চলমান রয়েছে।
এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মোট ২৯টি খাল রয়েছে। যার মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৯৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রায় ২৪ কিলোমিটার খাল পরিষ্কার ও খনন করা হয়েছে। নিয়মিত খালের বর্জ্য পরিস্কার করতে ৩৬০ জন পরিছন্নতাকর্মী নিয়োজিত করা হয়েছে।
২৯টি খাল এবং একটি রেগুলেটিং পন্ডের সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, খালের পাশে ১৩০০টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। রিটেনশন পন্ড ও খালের জিআইএস ডাটাবেইজ, জিআইএস হটস্পট ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। ডিএনসিসির ৩০জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিআইএস প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ডিএনসিসিতে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডে ড্রেনেজ লাইন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছেে বলেও জানান এজাজ।
সংবাদ সম্মেলনে বেশ কিছু ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। তিনি বলেন, ডিএনসিসি ব্লু নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েছে। ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় সরকার বিভাগের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর সিটির অধিভূক্ত খাল ও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসা থেকে ডিএনসিসির কাছে ন্যস্ত করা হয়েছে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে ১১৫ কিলোমিটার রাস্তা ও ১২০ কিলোমিটার নর্দমা নির্মাণ বা উন্নয়ন করা হবে। বাইশটেকী, সাংবাদিক কলোনি ও কুর্মিটোলা খালে ভূমি অধিগ্রহণ এবং খনন/পূনঃপ্রকল্প অনুমোদনের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির প্রশাসক জানান, ইব্রাহিমপুর খালের ড্রেনেজ কাঠামো, ওয়াকওয়ে এবং গ্রীন এরিয়া নির্মাণের ড্রয়িং,ডিজাইন ও এস্টিমেট প্রণয়ন করা হয়েছে। প্যারিস খালের ড্রেনেজ কাঠামো, ওয়াকওয়ে এবং গ্রীন এরিয়া নির্মাণের নিমিত্ত ড্রয়িং, ডিজাইন ও এস্টিমেট প্রণয়নের জন্য পরামর্শক নিয়োগ তেওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাউনিয়া ও রুপনগর খালের উন্নয়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পয়:বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও দূষণ কমানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ডাচ উন্নয়ন সহযোগিতায় কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ড, কল্যাণপুর প্রধান খাল ও শাখা খাল উন্নয়নের পরিকল্পনা প্রনয়ন করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।