জুমবাংলা ডেস্ক : ভোলার বোরহানউদ্দিন পৌর শহরে ফুটপাতে বসে জুতা সেলাই করে নিজের পড়ার খরচ ও সংসার পরিচালনা করে যাচ্ছে বোরহানউদ্দিন সরকারি আব্দুল জব্বার কলেজ এর বি.কম ২য় বর্ষের মেধাবী ছাত্র পলাশ চন্দ্র দাস। তার স্বপ্ন সরকারি একটি চাকুরী করে সংসারের অভাব অনটন দূর করবে।
পলাশ চন্দ্র দাসের গ্রামের বাড়ী উপজেলার কুতুবা ৭নং ওয়ার্ডের মুছি বাড়ী। বাবার বসত ভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই। বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ফুটপাতে পোষ্ট অফিসের সামনে বসে জুতা সেলাই’র কাজ করছে এ পলাশ চন্দ্র দাস। অভাব ও দারিদ্রতার মাঝেও নিজের পড়ালেখার হাল ছাড়েনি। তার বাবা রবি চন্দ্র দাসের পুরোনো ব্যবসা জুতা সেলাই’র দোকান। তার পিতার একা উপার্জনে সংসার পরিচালনা করতে এবং ছোট ভাই পড়াশুনা খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। এতে তার পড়ালেখা অনিশ্চিয়তা দেখা দেয়। এতে পলাশ থেমে না গিয়ে এইচ.এস.সি প্রথম বর্ষের শেষ দিক থেকে বাবার সাথে জুতা সেলাই’র কাজ করে নিজের পড়াশুনা এবং তার পরিবারের খরচ পরিচালনা করে যাচ্ছে।
এছাড়া ছোট ভাই সমির চন্দ্র দাস বাংলা বাজার ফাতেমা খানম কলেজে এইচ.এস.সি তে পড়াশুনা করে তার পড়াশুনা খরচও বহন করতে হয়। তিনি প্রতিদিন ৩শত টাকা থেকে ৪শত টাকা আয় করে সংসারের হাল ধরেন। দিনে জুতা সেলাই’র কাজ করেন এবং রাতে বাসায় গিয়ে পড়াশুনা করেন। বি.কম ১বর্ষে ভালো ফলাফল করেন সে। এইচ.এস.সি পাশ করেই পরিবারের কষ্ট দূর করতে বিভিন্ন দপ্তরে চাকুরীর জন্য আবেদন করেন। বাংলাদেশ পুলিশ স্পেশাল ব্রাঞ্চে হিসাব রক্ষক কাম কম্পিউটার পদে লিখিত পরীক্ষা উর্ত্তীণ হয়ে চাকুরী হয় নি। এছাড়া তিনি বর্তমানে ভোলা ডিসি অফিস সহ বিভিন্ন পদে সরকারি চাকুরীর জন্য একাধিক পদে আবেদন করেছে।
পলাশ চন্দ্র দাস বলেন, জুতা সেলাই’র কাজ করে সংসার ও পড়াশুনার খরচ চালাচ্ছি। মাঝে মধ্যে বন্ধুদের দেখলে একটু লজ্জা লাগে। কি আর করার আছে। বাবার একা উপার্জনের টাকায় সংসার ও ছোট ভাই’র পড়াশুনার খরচ দিয়ে আমার পড়াশুনার খরচ দিতে পারছে না। তাই আমার এ কাজ করেই পড়াশুনা ও সংসার চালাতে হচ্ছে। আমার স্বপ্ন সরকারি একটি চাকুরী করে পরিবারের অভাব অনটন দূর করবো। চাকুরীর জন্য বিভিন্ন দপ্তরের আবেদন করছি। সূত্র : ভোরের কাগজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।