ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে জুমার নামাজের পরেই দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার জুমার নামাজে দেয়া বয়ানকে কেন্দ্র করে তর্কাতকির জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- আহতদের মধ্যে হাজী গোষ্ঠীর মোশারফ হোসেন (৪০), খায়ের মিয়া (৩৫), রশিদ মিয়া, সিরাজ মিয়া (৬০), রহিজ মিয়া (৬৫), বাহার মিয়া (৫৫), রশিদ মিয়া, জাবের হোসেন (৩৫), ভূইয়া গোষ্ঠীর শিপন (৪০), কামাল মিয়া (৫০), এমরান (৩০), হাবিবুল্লাহ(২৫), মরিয়ম (৩০, হোসনে আরা বেগমের (৬৫)। তাদের মধ্যে সাতজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, মসজিদে জুমার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে ভূঁইয়া বাড়ির চুনু মিয়ার ছেলে শিপন মিয়া ও হাজী বাড়ির রশিদ মিয়ার ছেলে খায়ের মিয়া বাকবিতণ্ডায় জড়ান। এরই জেরে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫জন আহত হন। গোপীনাথপুর গ্রামের হাজী গোষ্ঠী ও ভূঁইয়া গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজাদ হোসেন হাজারী আঙ্গুর সংর্ষষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে কি কারণে এ সংঘর্ষ হয় সেটা তিনি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেন নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে চলে আসে বলে জানান তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়। সংঘর্ষে আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।