জুমবাংলা ডেস্ক : কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব ও শ্লীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন একই শাখা ছাত্রলীগের এক নারী নেত্রী। অভিযোগকারী জেলা ছাত্রলীগের একজন সহসম্পাদক। তিনি অনার্সে ভর্তি হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। এ ছাড়াও তিনি তার আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ারও অভিযোগ করেছেন।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কুষ্টিয়া মডেল থানায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ ও ছাত্রলীগ নেতা ফারদিন সৃষ্টি, মোহাইমিনুল মিরাজ এবং মো. হৃদয় মোট চারজনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দেন ওই নারী নেত্রী।
ওই নারীর করা অভিযোগে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নাম শেখ হাফিজ চ্যাঞ্জেস উল্লেখ করেছেন। প্রকৃতপক্ষে তার নাম শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ।
অভিযোগে তিনি বলেন, সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দীর্ঘদিন রাজনীতি করতাম, এক পর্যায়ে কুপ্রস্তাবসহ শ্লীলতাহানির চেষ্টা করায় এক মাস আগে তার কাছ থেকে সরে আসি। এরপর থেকেই সাধারণ সম্পাদকসহ অভিযুক্তরা রাস্তাঘাটে দেখা হলে বিভিন্ন কু-কথাসহ তাকে অনুসরণ করত।
এ ছাড়াও তারা গত ১০ আগস্ট ‘আঁখি খাতুন’ নামে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডিতে তার ব্যক্তিগত ছবি এডিট করে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কথা লিখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। পরদিন এসব করতে নিষেধ করলে তাকে হত্যার হুমকি দেন। সাধারণ সম্পাদকের প্রস্তাবে রাজি না হলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ বলেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সে আমার ফেসবুকেও নেই, ফোনেও কথা হয় না। সম্প্রতি ওই নারীর বিভিন্ন আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলা ছাত্রলীগ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়।
গেল আগস্ট শোকের মাস হওয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এখন যেকোনো সময় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে ভেবে সে আতঙ্কে এসব নাটকীয় অভিযোগ করছে। রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অভিযোগকারী নারী বলেন, ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকসহ অভিযুক্তরা আমার জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছেন। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন খাঁন বলেন, অভিযোগ থানায় জমা দিয়েছেন ওই নারী। সত্য-মিথ্যা যাচাই করে দেখা হবে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি তদন্ত জহুরুল ইসলাম বলেন, আমি যতদূর জানি তাদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি ছিল।
এদিকে এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন, এ ব্যাপারে আমি জানি না। চ্যালেঞ্জ এ রকম ছেলে না। তবে অভিযোগ হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
চাহিদা মেটাতে কোটি টাকা দিয়ে নীতা আম্বানি কিনলেন এই ডল, সমালোচনার ঝড়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।