আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে মোদী সরকারকে তুলোধনা করে নয়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আজ আমার ভাইকে ডাকছে। কাল হয়তো আমায় ডাকবে। জেলে যেতে তৈরি আছি৷ কিন্তু বিজেপির সাম্প্রদায়িকতার সামনে মাথা নোয়াব না৷
এদিন মেয়ো রোডে ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান ছিল৷ সেই অনুষ্ঠানেই মোদী সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একই সঙ্গে নাম না করে মুকুল রায়কে আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, “বলছে ১০৭ জন বিধায়কের নাম নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আগে ৭ জনের নাম বার কর। এত সস্তা না। আমরা বাংলায় লড়াই করি। তাই ওদের বাংলা চাই। আজ আমার ভাইকে ডেকেছে। কাল আমাকে ডাকবে। আমি জেলে যেতে রাজি আছি, কিন্তু বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি মানতে রাজি নই।’ জেলে গেলে ভাবব, স্বাধীনতা সংগ্রাম করছি, দেশ পরাধীন হয়ে গিয়েছে৷”
তৃণমূল সুপ্রিমো আরও বলেন, ” বিজেপি শুধু ধর্মের বাজার বসিয়েছে৷ বাংলার মানুষকে মনে রাখতে হবে বিজেপি খাবার, আশ্রয় দেবে না৷ আজ ভবিষ্যদ্বাণী করে যাচ্ছি, ওরা প্রেসিডেন্সিয়াল ফর্ম অফ গভর্নমেন্টের দিকে যাচ্ছে। জেনে রেখে দিন, আজ শিক্ষিত সমাজ, বিদ্বজনদের কাছে ভবিষ্যদ্বাণী করে যাচ্ছি, একটা নির্বাচন, একটা নেতা, একটা রাজনৈতিক দল, একটা জরুরি অবস্থা, প্রেসিডেন্সিয়াল ফর্ম অফ গভর্নমেন্টের দিকে যাচ্ছে ভারতবর্ষ। দুঃখের কথা এজন্য আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা লড়াই করেছিলেন, লক্ষ কোটি মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। আর আজ দেশ দখল করবে বলে সবাইকে টাকা দিচ্ছে, ভয় দেখাচ্ছে৷”
এ দিনই নারদ কাণ্ডে আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। বক্তৃতার শুরুর দিকেই মমতা সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “আজকে আসার সময় এক এমপি আমায় বলল, ওরা জানতে চাইছে, তোমার পার্টি মাসে কটা করে ব্লকে মিটিং করে। কী কী কর্মসূচি নেয়। সে তখন বলেছে, আমার পার্টি কী করে, তোমায় বলব কেন?তোমার দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের সিস্টেম কী? তোমার পার্টি রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেওয়ার সিস্টেম কী? আমি বললাম, আমার দল কী করছে না করছে, এগুলো কি আপনার কাজ?, গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল৷”
আরবিআই ইস্যুতে এদিন মোদী সরকারকে একহাত নিয়েছেন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত লোককে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাথায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে বলল, ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকা দিয়ে দিল। কার টাকা? জনগণের টাকা, দেশের টাকা। দেশের যদি বিপদ আসে, তাহলে টাকা থাকবে না। দেশের জন্য গচ্ছিত সোনা থাকে। আজ সেটাও নেই। সব চলে গিয়েছে।”
কাশ্মীর ইস্যুতেও সরব হয়েছেন মমতা৷ তিনি বলেন, কাশ্মীরে বন্দুকে নল চেপে রেখে দিয়েছে৷ কাউকে কথা বলতে দেয়নি৷ মিডিয়াকে ঢুকতে দেয়নি৷ সিপিএমকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, ভিয়েতনামের মুক্তিযুদ্ধে কলকাতায় আওয়াজ উঠেছিল৷ তোমার নাম, আমার নাম, ভিয়েতনাম, ভিয়েতনাম৷ আজ কোথায় সেই সিপিএম৷ আপনার ভূমিকা কোথায়? রামে-বামে এক হয়ে গেল!- কলকাতা24×7
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।