জুমবাংলা ডেস্ক : আ.লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন হাজারী ১৯৪৫ সালের ২৪ আগষ্ট ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে অবিবাহিত ছিলেন তিনি।
দেশের একজন আলোচি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন জয়নাল হাজারী। ১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া জয়নাল হাজারী আজীবন আওয়ামী লীগেই যুক্ত ছিলেন। ১৯৮৪ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দুই দশক ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। একসময় ফেনীর গডফাদার নামেও পরিচিত ছিলেন হাজারী।
রাজনৈতিক জীবন : জয়নাল হাজারী ১৯৮৪ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রায় বিশ বছরের বেশি সময় ধরে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ (ফেনী সদর) আসন থেকে ১৯৮৬, ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে তিনবার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। তার অসুস্থতার জন্যে চিকিৎসা ব্যয় হিসেবে ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ত্রাণ তহবিল থেকে হাজারীকে ৪০ লাখ টাকার অনুদান প্রদান করে। তিনি বর্তমানে আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
অভিনেত্রী জয়ার নায়ক বলিউড অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ি
বিতর্ক : হাজারী ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হবার পর, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ফেনীতে সন্ত্রাসের শিকার হয়ে প্রায় ১২০ জন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়। এই প্রেক্ষাপটের পেছেনে হাজারীকে সন্দেহ করা হয় এবং ২০০১ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ১৬ আগস্ট রাতে হাজারীর বাসভবনে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী।
রপরই তিনি আত্মগোপনে চলে যান। এপ্রিল, ২০০৪ সালে দল থেকে বহিষ্কৃত ঘোষণা করা হয় হাজারীকে। চার বছর পর ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর তিনি ভারত থেকে দেশে ফিরে আসেন এবং আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক হত্যাকাণ্ডের পর নানান কারণে আলোচনায় উঠে আসানে হাজারী। এছাড়া জয়নাল হাজারী হাজারিকা প্রতিদিন নামে একটি আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকা সম্পাদনা করে থাকেন, যা ফেনী থেকে প্রকাশিত হয়। তিনি এই পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা, প্রকাশক এবং সম্পাদক ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।