জুমবাংলা ডেস্ক : কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন ছাড়াই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের তিনশ শূন্য পদে নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, এই তিনশ পদে শিক্ষক নিয়োগ হবে সম্পূর্ণ ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের প্রোফাইলে এমন ঘোষণা দিয়ে পোস্ট করেছেন জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ঘুষ বা তদবিরে কাজ হবে না। চাকরি হবে নিজের যোগ্যতায়। ঘুষ দিয়ে প্রতারিত না হয়ে নিজের যোগ্যতায় ভরসা রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে।
ফেসবুক পোস্টে তিনি প্রার্থীদের উদ্দেশে আরও লিখেছেন, আমি কথা দিচ্ছি, পাবনা জেলায় ঘুষ বা তদবিরের মাধ্যমে কারও চাকরি হবে না, চাকরি হবে নিজের যোগ্যতায়।
মৌখিক পরীক্ষার সময় চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে প্রতারণা করা হয় উল্লেখ করে অনলাইনে কবীর মাহমুদের সই করা একটি ঘোষণাও প্রচারিত হচ্ছে।
এতে বলা হয়েছে, একজন প্রার্থীর ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর কেউ জানে না। মৌখিক পরীক্ষার ২০ নম্বরের মধ্যে ৫ নম্বর সার্টিফিকেটের জন্য নির্ধারিত। অর্থাৎ, মৌখিক পরীক্ষায় বিবেচ্য মোট নম্বর প্রকৃতপক্ষে ১৫, যা তিনটি বিষয়ে বিভক্ত। তাই ১৫ নম্বরের মধ্যে পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের ব্যবধান খুব বেশি হওয়ার অবকাশ নেই। তাই ঘুষ বা তদবিরের মাধ্যমে চাকরির কোনো সুযোগ নেই। যদি হয়, তবে তা কাকতালীয়। আর এই সুযোগ নিতে প্রতারকরা ওঁৎ পেতে আছে। ঘুষ দিয়ে প্রতারিত হবেন না। নিজের যোগ্যতায় আস্থা রাখুন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ জানিয়েছেন, তিনি পাবনা জেলাকে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত করতে চান। সরকারি চাকরিতে দীর্ঘদিন ধরে থাকা ঘুষ, দুর্নীতির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন।
কবীর মাহমুদ বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০১৮-এর মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বুধবার (১৬ অক্টোবর)। পাবনার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রায় তিনশ সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। নিয়োগপ্রার্থীর সংখ্যা প্রায় ৯০০। ফলে প্রতিযোগিতামূলক এই পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ পেতে কাউকে যেন ঘুষের দ্বারস্থ না হতে হয়, সেজন্য বিভিন্নভাবে জনসচেতনতা তৈরি করা হচ্ছে। এর জন্য আঁটঘাট বেঁধেই নেমেছেন বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, কেবল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ নয়, তার আওতায় থাকা সরকারি কোনো চাকরির জন্য পাবনাবাসীকে ঘুষ দিতে হবে না— এমন একটি পরিবেশ আমি তৈরি করতে চাই। আশা করি সবার সহযোগিতায় এটি আমি নিশ্চিত করতে পারব।
প্রসঙ্গত, এর আগে, কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন ছাড়াই কনস্টেবলের ১১১টি শূন্য পদে নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছিলেন পাবনার পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।