জুমবাংলা ডেস্ক : পারিবারিক কলহের জেরে বিয়ের চার মাসের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে হাসি আক্তারের। বিচ্ছেদের পরও স্বামী সোহেল রানা প্রায়ই তাকে উত্ত্যক্ত করত। জোর করে টাকা নিত। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষিপ্ত হয় সোহেল। একদিন রাগ করে হাসির মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ছয়দিন পর মারা যান তিনি।
হত্যার প্রধান আসামি সাবেক স্বামী সোহেলকে গ্রেপ্তারের পর সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার মিডিয়া সেন্টারে ঘটনার বিস্তারিত জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক বলেন, ‘হত্যার ঘটনার পর পাঁচ মাস আত্মগোপনে ছিল সোহেল। রবিবার রাতে কুমিল্লা শহরের ধর্মসাগর পার্কের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
র্যাব কর্মকর্তা জানান, ‘বিবাহ বিচ্ছেদের পর হাসি মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। একটি এনজিওতে চাকরি নিয়ে আমিনবাজার এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। কিন্তু অফিসে আসা-যাওয়ার পথে সোহেল প্রায়ই তাকে উত্ত্যক্ত করত এবং টাকা নিত। টাকা দিতে না চাইলে সে ক্ষুব্ধ হতো। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত ১ মে বাসায় ঢুকে হাসিকে এলোপাথাড়ি চড়-থাপ্পর, কিল-ঘুষি মারতে থাকে সোহেল। এ সময় তার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে নিউরোলজি সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে ছয় দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মারা যায় হাসি।
হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের মা সাভার থানায় একটি মামলা করেন। পরে র্যাব বিষয়টি নিয়ে ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং এই মামলার প্রধান আসামি সোহলকে গ্রেপ্তার করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।