Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home ‘টাকা বের করতে’ বাসার কেয়ারটেকারকে বসানো হয় ব্যাংকের শীর্ষ পদে
    জাতীয়

    ‘টাকা বের করতে’ বাসার কেয়ারটেকারকে বসানো হয় ব্যাংকের শীর্ষ পদে

    Soumo SakibSeptember 11, 20249 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : এস আলম গ্রুপ ২০১৭ সালে যখন ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয়, তখন ব্যাংকটিতে তাদের তিন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ ছিল ৩ হাজার ৬ কোটি টাকা। ব্যাংকটির চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক ছিলেন সাইফুল আলম। কিন্তু ৭ বছরের ব্যবধানে ইসলামী ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে এস আলম গ্রুপের ঋণের পরিমাণ ছাড়িয়েছে সোয়া লাখ কোটি টাকা। বাংলা ট্রিবিউনের করা প্রতিবেদন থেকে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো-

    ব্যাংকটির কর্মকর্তারা বলছেন, এস আলমের ঋণের প্রকৃত অঙ্ক আরও বেশি হবে। কারণ অনেক ঋণই এমন সব কোম্পানির নামে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে যাদের অস্তিত্ব আছে কেবল কাগজে-কলমে।

    অভিযোগ উঠেছে, শুধু ইসলামী ব্যাংকই নয়, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে এস আলম গ্রুপ একই কায়দায় নজিরবিহীনভাবে আরও ছয়টি ব্যাংক ও দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তাদের পছন্দের লোকদের বসায় এবং ঋণের নামে অর্থ বের করতে বেনামে শত শত প্রতিষ্ঠান খোলে। ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি আকিজ উদ্দিন ছিলেন তেমনই এক কর্মকর্তা।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, এই আকিজ উদ্দিন কিছুদিন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের বাসার কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করেছেন।

    সূত্র জানায়, অসচ্ছল পরিবারের সন্তান আকিজ উদ্দিন কেয়ারটেকার থাকাকালীন সাইফুল আলমের মন জয় করতে সক্ষম হন। পটিয়া পৌরসভার বাসিন্দা শাহেব মিয়ার ছেলে আকিজ উদ্দিন এক সময় চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে এক আত্মীয়ের পেঁয়াজের আড়তে কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।

    ২০০৯ সালে আকিজ উদ্দিন এস আলম গ্রুপের মালিকাধীন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার (ক্যাশ) হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এর কিছুদিন পর ২০১২ সালে তিনি এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের প্রটোকল অফিসার (পিএস) হন। এরপর থেকে আকিজের অভাবনীয় উত্থান!

    পিএস হওয়ার পর আকিজ শুরু করেন জমির দালালি। দালালি করে রাতারাতি বনে যান শত শত কোটি টাকার মালিক। তিনি এস আলমের এতটাই মন জয় করে নেন যে মাত্র ১৪ বছরের ব্যবধানে অস্বাভাবিক পদোন্নতি পেয়ে হয়ে যান ইসলামী ব্যাংকের মতো নামিদামি একটি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি)। অথচ একজন ব্যাংক কর্মকর্তাকে ডিএমডি পদে আসতে হলে তার অন্তত ২৪ থেকে ২৬ বছরের অভিজ্ঞতা লাগে।

    আকিজ উদ্দিন ও এস আলম দুজনই পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা। ১৯৯৭ সালে এসএসসি পাস করে পটিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হন আকিজ। সেখান থেকে এইচএসসি ও স্নাতক পাস করে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে যোগ দেন। আকিজ উদ্দিনের অন্য কোনও শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইসলামী ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা। এমনকি স্নাতক পাস করে ব্যাংকিং সেক্টরে কোন বছর কোথায় বা কত বছর তিনি কাজ করছেন সে অভিজ্ঞতাও উল্লেখ নেই বায়োডাটায়।

    ২০২১ সালে আকিজ উদ্দিন ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের এভিপি হিসেবে পদোন্নতি পান। ২০২৩ সালের এপ্রিলে ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি হিসেবে যোগ দেন তিনি। ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি হলেও তিনি মূলত এস আলম গ্রুপের সব ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করতেন। পাশাপাশি আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে চলতেন ও সুবিধা দিতেন। অবসরে যাওয়ার পর ওইসব সংস্থার কর্মকর্তাদের এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন ব্যাংকে চাকরির ব্যবস্থা করতেন তিনি।

    ইসলামী ব্যাংকে বসে এই আকিজ উদ্দিন আরও অন্তত ৭টি ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রভাবশালী শীর্ষ কর্মকর্তারাও এই আকিজ উদ্দিনের নিয়ন্ত্রণে চলে আসেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

    সূত্রের দাবি, সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরে স্থায়ী হওয়ায় গত সাত বছর ধরে তার পক্ষে গ্রুপের ব্যাংকগুলো পরিচালনা করতেন আকিজ উদ্দিন। এসব ব্যাংকে নিয়োগ, কেনাকাটা, পদোন্নতি ও ঋণ বিতরণ— সবই তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন। গ্রুপটির পক্ষে নামে-বেনামে ঋণ নেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থাকে কৌশলে প্রভাবিত করতেন তিনি। নিজেকে গ্রুপের বিকল্প চেয়ারম্যান হিসেবেও পরিচয় দিতেন। খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ছিলেন তার ভক্ত। ডেপুটি গভর্নররাও তার কথায় ওঠাবসা করতেন। এভাবে পুরো ব্যাংকিং সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে তার হাতে।

    আকিজ উদ্দিনকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কক্ষ ও গভর্নরের বাসভবনেও নিয়মিত দেখা যেতো। তার প্রভাবের মাত্রা এতটাই ছাড়িয়েছিল যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ে নিয়োগ ও কর্মকর্তাদের পদায়নও তিনি ঠিক করে দিতেন। এই আকিজ উদ্দিনের সিন্ডিকেট একদিকে এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা সবগুলো ব্যাংকের ঋণ রি-সিডিউল করে দিতেন কোনও ধরনের বাছবিচার ছাড়াই। এমনকি সুদ মওকুফও করে দিতেন তিনি।

    অপরদিকে সিন্ডিকেটের সদস্যরা ব্যাংকে থেকেই বেনামে শত শত প্রতিষ্ঠান খুলে ঋণের জন্য আবেদন করতেন। একই সিন্ডিকেটের সদস্য হওয়ায় ব্যাংকগুলোর পর্ষদও কোনও যাচাই-বাছাই ছাড়া সেই ঋণের অনুমোদন দিয়ে দিতো। এরপর সহজেই ঋণের নামে টাকা বের করে নেওয়া হতো। এর কিছু টাকা দেশে রেখে বাকি বড় একটি অংশ বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হতো।

    জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে ছয়টি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা জমা হয়েছিল। বর্তমানে এসব অ্যাকাউন্টে (হিসাব) মাত্র ২৬ হাজার কোটি টাকা জমা আছে। তবে কিছু ব্যাংক থেকে এখনও লেনদেনের তথ্য আসছে, যে কারণে জমা টাকার বর্তমান পরিমাণ চূড়ান্তভাবে বলা যাচ্ছে না। এই ব্যাংকগুলো হলো— ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক এবং বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক। এর মধ্যে পাঁচটি ব্যাংকই এস আলমের নিয়ন্ত্রণে ছিল।

    অভিযোগ উঠেছে, বছরের পর বছর আকিজ সিন্ডিকেট এস আলমের হয়ে এই ব্যাংকগুলো থেকে নিয়মিত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর গত ৬ আগস্ট ইসলামী ব্যাংক থেকে ‘বেনামি ঋণের’ নামে ৮৮৯ কোটি টাকার তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন আকিজ উদ্দিন। তবে ওইদিন ব্যাংকটির বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তাদের তৎপরতায় আকিজ উদ্দিন ব্যাংকে ঢুকতে পারেননি। এই টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল আকিজ উদ্দিনের মালিকাধীন ‘গোল্ডেন স্টার’ ও ‘টপ টেন ট্রেডিং হাউজ’ নামে দুটি কাগুজে প্রতিষ্ঠান।

    আকিজ নিজের আত্মীয়স্বজনের নামেও ব্যাংক থেকে ঋণ তুলে নেন। দেশে ও বিদেশে বিপুল সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আকিজ উদ্দিনের সংশ্লিষ্ট চারটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে ৯৯ কোটি টাকার হদিস পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ)। এসব অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। অবরুদ্ধ করে রাখা হিসাবের মধ্যে রহমান রহমান অ্যান্ড সন্সে জমা আছে ৫৬ কোটি ২৪ লাখ, আলম ট্রেডিং অ্যান্ড বিজনেস হাউসে ৮ কোটি ২৮ লাখ, নুরুল আলম নামে একটি ব্যাংক হিসাবে ৩ কোটি ৪৮ লাখ, মোস্তাক ট্রেডার্সে ১৫ কোটি ৪ লাখ টাকা ও নজরুল এন্টারপ্রাইজে ১৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

    সূত্রের দাবি, আকিজ উদ্দিন দেশের ব্যাংক থেকে লুট করে নেওয়া টাকায় দুবাইতে গড়ে তুলেছেন তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে দুটি স্বর্ণের দোকান রয়েছে। সেগুলো তার শ্যালক পরিচালনা করেন। আকিজের দুটি জাহাজ রয়েছে বলেও একটি সূত্র দাবি করেছে। এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রামে রয়েছে আটটি ফ্ল্যাট। চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ পাসপোর্ট অফিস-সংলগ্ন এলাকায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। পটিয়ায় গ্রামের বাড়িতে তৈরি করেছেন বিলাসবহুল বাড়ি যার মূল্য তিন কোটি টাকা।

    সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই পলাতক রয়েছেন এস আলমের ‘ডান হাত’ নামে পরিচিত আকিজ উদ্দিন। তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

    ইসলামী ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, ডিএমডি আকিজ উদ্দিন নামে-বেনামে কোম্পানি খুলে ব্যাংক থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। এক্ষেত্রে তাকে সহযোগিতা করেছেন ইসলামী ব্যাংকের আরেক ডিএমডি মিফতা উদ্দিন। এই দুই ডিএমডি আমদানি-রফতানির মাধ্যমে এস আলমের কোটি কোটি টাকা পাচারে সহযোগিতা করতেন। বেনামি ঋণ সৃষ্টি করে ওই অর্থ দিয়ে ইসলামী ব্যাংকের বিদেশি কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে এস আলমের বেনামি প্রতিষ্ঠানের নামে শেয়ার কিনতেও সহযোগিতা করতেন। শেয়ার কেনার কাজে সহযোগিতা করতেন জেকিউএম হাবিবুল্লাহ, তিনি ইসলামী ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সেক্রেটারি ছিলেন।

    আরও অভিযোগ রয়েছে, সাইফুল আলমের জামাতা বেলাল আহমেদ ও ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম মোকাম্মেল হক চৌধুরীসহ আরও কয়েকজন মিলে সরকারি সংস্থার সহায়তায় পুরো ব্যাংকিং খাত নিয়ন্ত্রণ করতেন। তারা রফতানি-আমদানি ব্যবসা ও বিনিয়োগের মিথ্যা দাবি করে দেশের আটটি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন নামে ঋণ নিয়ে প্রায় সোয়া লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।

    এদিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির তথ্য অনুযায়ী, পাচার করা অর্থে সিঙ্গাপুরে ২ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার পরিশোধিত মূলধনের ক্যানালি লজিস্টিক প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান করেছেন এস আলম ও তার সহযোগী ব্যক্তিরা। তারা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিদেশে পণ্য আমদানি-রফতানি ও বিনিয়োগের নামে ছয়টি ব্যাংক থেকে ৯৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছে।

    এছাড়া নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান খুলে এস আলম অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১৮ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এরইমধ্যে সিআইডি ১ লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে।

    ৩১ আগস্ট গণমাধ্যমে সিআইডির পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের মালিক এস আলম ও তার সহযোগী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ অপরাধ, প্রতারণা, জালিয়াতি ও হুন্ডি কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে। এস আলমসহ তার সহযোগী ব্যক্তিরা ১ লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারে জড়িত সন্দেহে অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। তারা (এস আলম গ্রুপ) সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সাইপ্রাস ও ইউরোপে বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচার করে নিজের ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ করেছে।

    এদিকে এস আলমের অর্থপাচারের বিষয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে এস আলম গ্রুপের ব্যাংক হিসাবের (অ্যাকাউন্টের) যাবতীয় লেনদেনের তথ্য এবং সংশ্লিষ্ট নথিপত্র তলব করেছেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. নূর-ই-আলম।

    উচ্চ আদালতের এক আদেশের পর এস আলমের অর্থপাচারের অনুসন্ধান বন্ধ রাখা হয়েছিল। আপিল বিভাগের পর্যবেক্ষণের পর পুনরায় অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। অনুসন্ধান তদারকি করছেন মানিলন্ডারিং শাখার পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী।

    এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ইসলামী ব্যাংক থেকে গ্রুপটি সব ধরনের সীমা লঙ্ঘন করে ঋণ নিয়েছে । এখন পর্যন্ত এস আলমের সুবিধাভোগী ৫২টি কোম্পানির নাম খুঁজে পাওয়া গেছে। এর বাইরে আরও বহু ভুয়া কোম্পানি আছে যেগুলো ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে টাকা বের করেছে এস আলম গ্রুপ।

    তথ্য বলছে, এস আলম প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ বের করে নিয়েছে রাজশাহীর বিতর্কিত নাবিল গ্রুপের নামে। নাবিল গ্রুপকে কিছু টাকা দিয়ে বাকি সব টাকাই আত্মসাৎ করেছে এস আলম গ্রুপ। কোনও নিয়মনীতি পরিপালন ছাড়াই ব্যাংকের চারটি শাখা থেকে এই ঋণ তুলে নিয়েছে গ্রুপটি। শুধু তাই নয়, আলোচ্য গ্রাহককে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে একক গ্রাহকের সর্বোচ্চ সীমা লঙ্ঘন করেছে ব্যাংকটি। আবার এই ঋণের বিপরীতে তেমন কোনও সহায়ক জামানত নেই। ফলে পরোক্ষ ঋণের টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষণ ও ইসলামী ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নথি পর্যালোচনায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

    ইসলামী ব্যাংকের ২০১৬ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, এস আলম গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠান– এস আলম স্টিল অ্যান্ড রিফাইনড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ, এস আলম ভেজিটেবল অয়েল এবং এস আলম সুপার এডিবল অয়েল ছিল ব্যাংকের শীর্ষ ২০ ঋণগ্রহীতার মধ্যে। তবে ২০২০ সাল নাগাদ এস আলমের আরও দুটি কোম্পানি যুক্ত হয় শীর্ষ ঋণগ্রহীতার তালিকায়। ২০২১ সালে যুক্ত হয় আরও চারটি।

    ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপের নেওয়া ঋণের চিত্র হচ্ছে— ইসলামী ব্যাংকের ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এস আলম স্টিলস অ্যান্ড রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ ৪ হাজার ২১৭ কোটি টাকা, এস আলম ভেজিটেবল অয়েল ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা, এস আলম সুপার এডিবল অয়েল ৩ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা এবং এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলসের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা পেতো ইসলামী ব্যাংক। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ এই চারটি কোম্পানি মোট ১৪ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যা তাদের সাত বছর আগে নেওয়া ঋণের চেয়ে সাড়ে তিনগুণ বেশি।

    কেবল এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠানই ইসলামী ব্যাংক থেকে বড় ঋণ নেয়নি, গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোও বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়েছে। যেমন- তার ছেলে আহসানুল ইসলামের মালিকানাধীন ইনফিনিট সিআর স্ট্রিপস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছে ইসলামী ব্যাংক পাবে ১ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা।

    সাইফুল আলমের জামাতা বেলাল আহমেদের ইউনিটেক্স এলপি গ্যাস নিয়েছে ১ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার ঋণ। সাইফুল আলমের ভাগ্নে মোস্তান বিল্লাহ ও তার স্ত্রী সাদিয়া জামিল প্রত্যেকে ১ হাজার কোটি টাকার বেশি করে ঋণ নিয়েছেন তাদের কোম্পানি আদিল করপোরেশন ও সাদিয়া ট্রেডার্সের নামে।

    এসব ঋণের বেশিরভাগেরই অনুমোদন করা হয় মাহবুবুল আলমের মেয়াদে, যিনি ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। ইসলামী ব্যাংকে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন এই মাহবুবুল। এই ব্যাংকটিও নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল এস আলম গ্রুপ।

    পুতিন তোমাকে দুপুরের খাবার হিসেবে খেয়ে ফেলবে: ট্রাম্পকে কমলা

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় করতে কেয়ারটেকারকে টাকা পদে বসানো বাসার বের ব্যাংকের শীর্ষ হয়,
    Related Posts
    Flood

    দেশে বড় ধরনের বন্যার আভাস

    August 16, 2025
    weather alert

    বন্দরে সতর্ক সংকেত নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা

    August 16, 2025
    LDC graduation

    ‘মনে হচ্ছে অনেক উপদেষ্টা ইন্টার্নশিপে এসেছেন’

    August 15, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Marvel Rivals Queen’s Codex

    Hela’s Symbiote Reign: Marvel Rivals Queen’s Codex Event Rewards & End Date Revealed

    ios 26 public beta

    iOS 26 Beta 6 Unveils Camera Swipe Fix and Liquid Glass Design: Key Changes Developers Need to Know

    Battlefield 6

    Battlefield 6 Beta Players Decry “COD-Like” Empire State Map as Too Small

    Weapons True Story: Real-Life Tragedy Inspiration Explained

    Weapons Movie Explained: Hidden AA Symbol Reveals Heartbreaking Addiction Metaphor

    Trump's Victory Speech Sparks Controversy Over Contentious Remarks

    Trump’s North America Dominance Claim: Fact-Checking “Mexico and Canada Do What We Tell Them

    Odysse Evoqis

    Odysse Evoqis Electric Bike Launched: Sporty Design Meets 100+ Km Range in India

    Parents Sue Demi Moore Over 21-Year-Old's Death at Home (Character count: 58)

    Demi Moore Settles Wrongful Death Lawsuit Over Tragic 2015 Pool Drowning

    superman movies box office

    Superman 2025’s Early Digital Release: James Gunn Reveals Peacemaker’s Crucial Role

    US-Brazil Trade Tensions Halt Reforms, Lift Dollar, Stir Market Anxiety

    US Dollar Soars to 5.44 Reais as Brazil Trade Talks Collapse

    Keeway Vieste 300

    Keeway Vieste 300 Review: Style, Power & Comfort Redefined for Urban Explorers

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.