জুমবাংলা ডেস্ক: ঈদে নাড়ির টানে নিজ বাড়ি কুড়িগ্রামে ফিরছিলেন ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান। ঢাকা থেকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নেমে ভাড়া কারে কুড়িগ্রামে উদ্দেশে রওয়ানা হন। কিন্তু বিমানবন্দর এলাকায় হঠাৎ বিকল হয়ে যায় ওই ভাড়া গাড়ি। তাৎক্ষণিক অন্য একটি গাড়ি ভাড়া নিয়ে রওয়ানা দেন গন্তব্য গ্রামের বাড়িতে। কিন্তু গাড়ি পরিবর্তনের সময় পাঁচ লাখ টাকাসহ তাঁর একটি ব্যাগ ফেলে আসেন বিকল হওয়া গাড়িটিতে।
পরে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মোমেন শাহরিয়ার টুটুলের হস্তক্ষেপে পাঁচ লাখ টাকার ব্যাগটি ফিরে পান ওই ব্যবসায়ী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলা সদরের বাধভান্ডার এলাকার মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান। ঢাকায় রয়েছে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। গত শুক্রবার (২১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেসরকারি বিমানসংস্থা নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটযোগে সৈয়দপুরে আসেন তিনি। এরপর বিমানবন্দরে একটি ভাড়া করা কারে কুড়িগ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন।
এ সময় সৈয়দপুর বিমানবন্দর এলাকায় আকস্মিক বিকল হয়ে যায় ওই ভাড়া কারটি। তাৎক্ষণিক অন্য একটি কার ভাড়া নিয়ে রওয়ানা দেন বাড়ির উদ্দেশে। কিন্তু গাড়ি পরিবর্তনের সময় ভুলে পাঁচ লাখ টাকাসহ ব্যাগটি ফেলে যান বিকল হওয়া কারটিতে।
ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান জানান, রংপুরের কাউনিয়া শহর অতিক্রমের সময় টাকার ব্যাগটির কথা তার মনে পড়ে। পরবর্তীতে বিমানবন্দরের এক পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মোমেন শাহরিয়ার টুটুলের সঙ্গে যোগাযোগে করি। তিনি (টুটুল) খোঁজ নিয়ে জানান, বিমানবন্দরে বিকল হওয়া কারটি তার বাবা মোনায়েম হোসেনের। এ সময় তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেন ওই কারে ব্যাগটি পড়ে থাকলে অবশ্যই তা ফেরৎ পাবেন। এরপর তিনি আমাকে সৈয়দপুর আসার পরামর্শ দেন।
সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মোমেন শাহরিয়ার টুটুল বলেন, ওই ব্যবসায়ী তার টাকাসহ ব্যাগের কথা জানালে আমি তাৎক্ষণিক কারটির চালকের সঙ্গে কথা বলি। চালক বিমানবন্দরে কারটি বিকল হওয়ার কথাটি নিশ্চিত করেন এবং ভুরুঙ্গামারীর একটি পরিবারকে ভাড়া দেওয়ার কথাটি জানান। পরবর্তীতে বিকল হওয়া কারটিতে খোঁজাখুঁজির পর একটি সিটের নিচে টাকার ব্যাগটি পড়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপকের উপস্থিতিতে টাকাসহ ব্যাগটি ব্যবসায়ীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় নীলফামারী জেলা মাইক্রোবাস, পিকআপ, কার মালিক সমিতির সভাপতি মোনায়েম হোসেন, সৈয়দপুর পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি শাহনেওয়াজ টগরসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
টাকার ব্যাগটি হাতে পেয়ে ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, হারিয়ে যাওয়া টাকার ব্যাগটি ফিরে পাব এমন আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু ছাত্রলীগ নেতা টুটুলের তড়িৎ পদক্ষেপে পাঁচ লাখ টাকাসহ ব্যাগটি পেয়েছি। এজন্য ছাত্রলীগের ওই নেতাসহ পুরো সংগঠনটির প্রশংসা করেন তিনি।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সুপ্লব কুমার ঘোষ জানান, বিমান যাত্রীর টাকা ফেরতের এমন ঘটনায় সত্যিই আমি অভিভূত হয়েছি। এতে সৈয়দপুরের মানুষ একটি সততার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। এজন্য ওই ছাত্রলীগ নেতা ও তার পরিবারের প্রশংসা করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।