জুমবাংলা ডেস্ক : জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরীক দল গণফোরামের ভেতরে চলছে ঐক্যের সংকট। সম্প্রতি দলটির সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া ও তার বিরোধীপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের পর ঘণীভূত হয়েছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল। ফলে দলীয় সমাবেশেও অংশ নিচ্ছেন না কেউ-কেউ। তবে, গণফোরামের সিনিয়র নেতারা বলছেন, শিগগিরি রেজা কিবরিয়া দেশে ফিরলে সবাইকে নিয়ে বসবেন ডক্টর কামাল হোসেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ডক্টর কামাল হোসেনের গণফোরামে যোগ দেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া। আর গত বছরের ২৬ এপ্রিল বিশেষ কাউন্সিলে দলটির সাধারণ সম্পাদক করা হয় তাকে। প্রকাশ্যে না বললেও, গুঞ্জন আছে রেজা কিবরিয়ার সাধারণ সম্পাদক হওয়া সহজভাবে নেননি কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। যা স্পষ্ট হচ্ছে সাম্প্রতিক পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের মধ্য দিয়ে।
গেলো ৩০ জানুয়ারি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে, প্রচার সম্পাদক খান সিদ্দিক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক লতিফুল বারী হামিম ও হেলালউদ্দনিকে সাময়িক বহিষ্কার ও কারণ দর্শানো নোটিস দেন রেজা কিবরিয়া। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে, দলীয় কর্মকান্ডে সক্রিয় না থাকার অভিযোগ এনে উল্টো সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুশতাক আহমেদকে দল থেকে বহিষ্কার করেন তারা।
এ বিষয়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুশতাক আহমেদ বলেন, নানা জনের সাথে অশোভন ব্যবহার তাঁদের তিনজনের নিত্য নৈমত্যিক ব্যাপার। বারবার তাদেরকে বলা হয়েছে, তাঁরা শোকজের জবাব না দিয়ে আমাকে ও ডা. রেজা কিবরিয়াকে সাময়িক বরখাস্থ করেছেন।
রেজা কিবরিয়া বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ, স্বৈরাচার এরশাদের সাথে রাজনীতি করেছেন এমন দুজনকে কো অপ্ট করে দলে নেয়া হয়েছে। আর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের ৯ মাসে কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো কোনো সভা ডাকেন নি তিনি।
নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী কেন্দ্রীয় কমিটির নিয়মিত বৈঠক করা হোক। গত ১০মাসে হয় নাই তবে ভবিষ্যতে আশা করি হবে। ড. কামাল হোসেন সব ব্যপারে হয়তো উদ্বেগী নয়, যে এভাবে কাউকে বহিষ্কার, পালটা বহিষ্কার করার কোন সুযোগই নেই। যদি কিছু করতেই হয় তবে কেন্দ্রীয় কমিটির সভা ডেকে সেখানে আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।
তবে, গণফোরামের আরেক নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলছেন, বহিষ্কার পাল্টা বহিষ্কার কিংবা টানাপোড়েন দলে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
অভ্যন্তরীণ সংকট ঘোচাতে বৃহস্পতিবার সমাবেশ হয় গণফোরামের ব্যানারে। তবে, এতে যোগ দেননি বহিস্কৃত যুগ্ম সম্পাদক মুশতাক আহমেদ। আর পারিবারিক কাজে দেশের বাইরে আছেন রেজা কিবরিয়া। দেখা যায় নি দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেনকেও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।