স্পোর্টস ডেস্ক : মাঠে গড়ালো কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল। এ মহারণে প্রথম গোল করেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। এরপর ই গোল পেলেন ডি মারিয়া। লুইসাইল স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে নিজেদের কাংক্ষিত একাদশই নিয়েই মাঠে নেমেছে দুই দল।
এ যেন এক আবেগময় মুহূর্তের সর্বোচ্চ চূড়া। ফিফা বিশ্বকাপে নিজের শেষ ম্যাচ। আবার জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ সাফল্য, একইসঙ্গে জীবনের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত বস্তুটি পাওয়ার হাতছানি।
লিওনেল মেসির জন্য আজ এক অন্যরকম ম্যাচ। নিজে পেনাল্টি থেকে গোল করলেন। পরে ডি মারিয়াকে দিয়ে গোল করালেন।
এমন আনন্দঘন মূহুর্তে গোলের পরই ডি মারিয়ার চোখের কোনে আসে নোনা জল। এ পানি তার প্রতিশোধের, ভেতরের লুকিয়ে থাকা ক্ষোবের। আর গোলের আন্দতো আছেই। এমন এক নান্দনিক গোল অনেক দিন মনে রাখবে ফুটবল বিশ্ব। এমন মুহুর্তে চোখে পানি আসবে এটাই স্বাভাবিক।
এই ম্যাচে নেমেই বিরল সব রেকর্ডের বুকে নাম লেখালেন মেসি।
লুইসাইল স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে নিজেদের কাংক্ষিত একাদশই নিয়েই মাঠে নেমেছে দুই দল।
ফাইনালের মহারণে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছে না। কারণ হারলেই বিশ্বকাপ হাতছাড়া হয়ে যাবে। আর তাই নিজেদের সেরা একাদশ নিয়েই মাঠে নেমেছে ফরাসি ও আলভিসেলেস্তেরা।
এমন ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণত্মক খেলতে থাকে আর্জেন্টিনা। পুরো দলই চায় আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসির হাতে বিশ্বকাপ তুলে দিতে। পরপর দুটি আক্রমণ করে ফ্রান্সের গোল বারে। তবে তা তাতা হয়ে রক্ষা করেন গোল কিপার হুগো লরিস।
বল নিয়ে ছুটছেন ডি মারিয়া। ডিবক্সের মধ্যেই তাকে রুখতে গিয়ে ধাক্কা দেন ফ্রান্সের উসমান ডেম্বেলে। ভাগ্য হয়তো আজ আর্জেন্টিনার পক্ষে। রেফারি ফাউল ডাকেন। বরাবরের মত পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। পেনাল্টিতে বারবার আর্জেন্টিনাকে গোল এনে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রাণ ভোমরা লিওনেল মেসি।
এবারো নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগালো বিশ্বসেরা এ খেলোয়াড়। ২৩ মিনিটে মেসির শর্ট রুখেত ব্যর্থ হলো লরিস। স্টেডিয়ান কাঁপিয়ে শোনা গেল গোল। ১-০গোলে এগিয়ে গেল আর্জেন্টিনা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।