স্পোর্টস ডেস্ক: নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারের অনুপস্থিতিতেও একটু দমে যায়নি পিএসজি। বুধবার ডি মারিয়া, এমবাপ্পের গোলে লিগ ওয়ানের তলানির দল নিমেসকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ফরাসি জায়ান্টরা। অন্যদিকে দুই গোলে এগিয়ে থেকেও লেন্সের সাথে ২-২ গোলে ড্র করতে বাধ্য হয়েছে ধুকতে থাকা মার্শেই।
পার্ক ডি প্রিন্সেসে ১৭ মিনিটে আর্জেন্টাইন তারকা এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। ৩৬ মিনিটে পাবলো সারাবিয়াকে দিয়ে ব্যবধান দ্বিগুন করিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন। ইনজুরি আক্রান্ত নিয়মিত গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের পরিবর্তে কালও মাঠে নেমে নিজেকে দারুনভাবে প্রমান করেছেন সার্জিও রিকো। লামিন ফোম্বাকে অসধারণ এক সেভে রুখে দিয়ে তিনি স্বাগতিকদের রক্ষা করেছেন। জার্মান ডিফেন্ডার থিলো কেহরারের শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে। কিন্তু ফরাসি তরুন তুর্কি কিলিয়ান এমবাপ্পে ঠিকই স্কোরশিটে নাম লিখিয়েছেন। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝিতে ২০ গজ দুর থেকে দুর্দান্ত এক কার্লিং শটে দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন এমবাপ্পে। মৌসুমের এটি তার ১৫তম লিগ গোল।
লোরিয়েন্টের কাছে সপ্তাহের শেষে ৩-২ গোলের হতাশাজনক পরাজয়ের কারণে শীর্ষস্থানে উঠতে পারেনি পিএসজি। নতুন কোচ মরিসিও পোচেত্তিনোর অধীনে এটাই ছিল পিএসজির প্রথম পরাজয়। কালকের জয়ের পরেও শীর্ষে থাকা লিলির থেকে তিন পয়েন্ট পিছিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
পোচেত্তিনো বলেছেন, ‘লোরিয়েন্টের বিপক্ষে হতাশাজনক পরাজয়ের পর দ্রুতই জয়ে ফেরাটা স্বস্তির। আজ আমরা অনেক বেশী সুযোগ তৈরী করেছি এবং একইসাথে সেগুলো কাজে লাগিয়েছি। দুই অর্ধে আমরা সমান গভীরতা নিয়ে খেলতে পারিনি। রোববার মার্শেইর বিপক্ষে ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। ঐ ম্যাচে আমাদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতই সেরা ৯০ মিনিট উপহার দিতে হবে।’
এদিকে টানা তিনটি লিগ ম্যাচে পরাজিত হওয়া মার্শেই গতকাল দুই গোলে এগিয়ে থেকেও লেন্সের কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। বিরতির আগে ফ্লোরিয়ান থুভিন ও আরকাডিয়াজ মিলিকের গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল সফরকারী মার্শেই। কিন্তু বিরতির ঠিক পরপরই ফ্লোরিয়ান সোটোসার গোলে ম্যাচে ফিরে আসার ইঙ্গিত দেয় লেন্স। এরপর ৬১ মিনিটে ফুকান্ডো মেডিনার গোলে সমতায় ফিরে স্বাগতিকরা।
সব ধরনের প্রতিযোগিতায় শেষ ১০ ম্যাচে মাত্র একটিতে জয়ী হয়েছে মার্শেই। মঙ্গলবার কোচ আন্দ্রে ভিয়াস-বোয়াসের বরখাস্তের পর একাডেমী প্রধান নাসির লারগুয়েট ক্লাবের দায়িত্ব নিয়েছেন। লারগুয়েট বলেছেন, ‘২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাবার পর আত্মতুষ্টিতে ভোগার উপায় নেই। কিন্তু তারপরেও আমি ছেলেদের নিয়ে গর্বিত। প্রত্যাশার অনেকটাই আজ তারা পূরণ করেছে।’
আরেক ম্যাচে বর্দুকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে টানা পাঁচ ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে লিলি। টেবিলের শীর্ষে থাকা লিলি হয়ে গোলগুলো করেছেন ইউসুফ ইয়াজিকি, টিমোথি ওয়ে ও জোনাথন ডেভিড।
ধুকতে থাকা ডিজনের বিপক্ষে ১-০ গোলের কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে লিঁও। এবারের মৌসুমে এখনো পর্যন্ত জয়ের মুখ দেখেনি তলানির থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডিজন। এই জয়ের পরে লিলির থেকে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে লিঁও।
অধিনায়ক উইসাম বেন ইয়েডারের দুই গোলে নিসের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় নিশ্চিত করেছে মোনাকো। নতুন বছরে এটি তাদের ছয় ম্যাচে শতভাগ জয়ের রেকর্ড। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।