জুমবাংলা ডেস্ক : ডিসেম্বরেই বাণিজ্যিক যাত্রার জন্য প্রায় প্রস্তুত মেট্রোরেল। সরকারের পক্ষ থেকে দিনক্ষণ নিশ্চিত করলেই আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু। এমনটিই জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ।
ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, ১৬ ডিসেম্বরের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় থাকবে কর্তৃপক্ষ। এ মুহূর্তে চলছে সিস্টেম ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট। এরপর ব্লাঙ্ক অপারেশন; তারপরই বাণিজ্যিক চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে স্বপ্নের মেট্রোরেল। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের টুকিটাকি কাজ। সবার আগে নিশ্চিত করা হচ্ছে ট্রেন চলাচলের খুঁটিনাটি বিষয়টিও।
মেট্রোরেল এ মুহূর্তে যে পর্ব পার করছে, তাকে বলা হচ্ছে সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন টেস্ট। প্রতিটি ট্রেন গতির সঙ্গে মিলিয়ে প্রতিটি স্টেশনে কখন-কীভাবে থামবে, স্টেশনগুলোতে কতটুকু সময় নিয়ে থামতে হবে – এ বিষয়গুলো ঝালিয়ে নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কন্ট্রোল রুমে বসে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে সেগুলোও দেখে নিচ্ছেন তারা।
টেকনিক্যাল দিকগুলো সামলাতে এতদিন তেমন বেগ পেতে হয়নি। এমআরটি বলছে, এবারো সব ঠিকঠাক হলে শুরু হবে ব্লাঙ্ক অপারেশন। এর মাধ্যমে যাত্রীসহ চলাচলের পূর্ণ অভিজ্ঞতা নেবে অপারেশন টিম। এ যজ্ঞ ডিসেম্বরের প্রথম ভাগেই শেষ করতে চান তারা।
মেট্রোরেলের উত্তরা-আগারগাঁও লাইনের কাজ প্রায় ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে জানিয়ে ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক আরও বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই পুরো কাজ শেষ হবে।
এমএএন সিদ্দিক বলেন, ‘সিস্টেম ইন্টিগ্রেশনের কাজ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর কর্তৃপক্ষ ট্রায়াল রান শুরু করবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আপডেট তথ্য উপস্থাপন করব। এটি জনসাধারণের জন্য কবে উন্মুক্ত করা হবে, সেই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দেবেন।’
এরপর কেবল অপেক্ষা আনুষ্ঠানিকতার। ডিএমটিসিএল বলছে, ১৬ ডিসেম্বরের পর যে কোনো দিন শুরু হতে পারে স্বপ্ন যাত্রা।
উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতার পরদিন থেকে মেট্রোরেলে সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারবে বলেও জানান এমএএন সিদ্দিক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।