জুমবাংলা ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতিতে এবার ঈদের আগের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চিরচেনা যানজটের দৃশ্যপট পালটে গেছে। যানজটের বদলে রবিবার এ মহাসড়ক পুরোটাই ছিল প্রায় ফাঁকা।
এদিন মহাসড়কে মাঝেমধ্যে চলছে কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক। কাউকে মোটরসাইকেল যোগেও চলতে দেখা যায়। আর ছিল পণ্যবাহী ট্রাক।
টাঙ্গাইল থেকে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলযোগে মির্জাপুর আসা ব্যবসায় রতন দত্ত বলেন, রাস্তা একেবারে ফাঁকা। ঈদের আগে এমন দৃশ্য কখনো দেখা যায় না।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গণ পরিবহন চলাচল বন্ধ রেখেছে সরকার। তবে ঈদে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। এ অবস্থায় যারা রাস্তায় বেরিয়েছেন তারা এক টানে গন্তব্যে চলে যেতে পেরেছেন। এতে স্বাভাবিকের চেয়ে সময় লাগছে অনেক কম।
দুপুরে টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত মহাসড়কের ২৮ কিলোমিটার ঘুরে দেখা যায়, পুরো রাস্তা প্রায় ফাঁকা। কিছুক্ষণ পর পর দু-একটি ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা ও পণ্যবাহী ট্রাক চলছে। মাঝেমধ্যে ছুটে যাচ্ছে মোটরসাইকেল।
এই সড়কের যাতায়াতকারীরা জানান, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ঈদের ছুটি হওয়ার পরই এই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ অনেক বেড়ে যায়। এ সময় ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ৩ ঘণ্টার রাস্তা যেতে সময় লাগে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত। এবার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সেই যানজটের ভোগান্তি নেই। ব্যক্তিগত গাড়ি ও মাইক্রোবাসে নির্বিঘ্নে ঢাকা থেকে ঘরমুখো মানুষ বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে চলে যেতে পারছেন। অনেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইকে ছুটছেন গন্তব্যে।
জানতে চাইলে টাঙ্গাইলের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) সাজেদুল ইসলাম বলেন, আজ সারা দিন এই মহাসড়কে যানবাহনের কোনো চাপ ছিল না। ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে দেওয়া হচ্ছে। তবে ট্রাক বা পিকআপ-ভ্যানে যাত্রী বহন করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ জন্য জেলার অন্তর্গত মহাসড়কে সাতটি চেকপোস্টে পুলিশ দিনরাত কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।