জুমবাংলা ডেস্ক : বাড়ির দেয়ালে লেপ্টে ছিল একটি তক্ষক। তার উচ্চস্বরের ডাকে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন বাড়ির গৃহকর্তা। তারপর শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষকে খবর দিলে উদ্ধার করা হয় সেটিকে।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শহরের রূপসপুর আবাসিক এলাকার সামনে অবস্থিত বেলাল অ্যান্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী আবুল ফজল বেলাল তার বাসায় একটি তক্ষক দেখে সেবা ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষকে ফোন দিয়ে ঘটনাটি জানানো হয়। পরে সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন তক্ষকটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
আবুল ফজল বেলাল বলেন, আকারে টিকটিকির থেকে অনেক বড় ওই প্রাণীটি আমাদের ঘরের দেয়ালে লেপ্টে থাকা অবস্থায় তার জোরে জোরে ডাক শুনে ভয় লেগেছিল। আরও ভয় লেগেছিল যদি পাচারকারীরা এটিকে দেখে তাহলে ধরে নিয়ে যেতে পারে। তাই এটিকে আমাদের বাসা থেকে নিয়ে যেতে বলেছি।
বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল বলেন, ‘এই তক্ষকটিকে আমরা অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে পরেছি। তক্ষক বাড়িতে থাকলে আতংকিত হবার কিছুই নেই। এদের বৈশিষ্ট অনেকটা টিকটিকির মতোই। তক্ষক নিশাচর প্রাণী। এরা ঘরের ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ, সাপ, টিকটিকি ও ছোট ছোট পাখি খেয়ে থাকে। ’
স্থানীয় বনবিভাগের সঙ্গে আলোচনাক্রমে এটিকে যথাস্থানে অবমুক্ত করা হবে বলে তিনি জানান।
তক্ষকের বৈজ্ঞানিক নাম Gekko gecko। বর্তমানে এরা বিপন্ন প্রজাতির সরীসৃপ প্রাণী। উচ্চমূল্য প্রাপ্তির গুজবে বহু তক্ষকের জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে। পাচারকারীচক্র দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তক্ষক ধরে ধরে নিয়ে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তক্ষক উদ্ধার এবং অপরাধীদের গ্রেফতার কার্যক্রম দেশব্যাপী বাড়ায় তক্ষক পাচারকারীরা বর্তমানে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।