আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনকে মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়ার সামরিক জোট গঠনকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেছে বেইজিং। দেশ তিনটিকে নিজেদের শীতল যুদ্ধের মানসিকতা ঝেড়ে ফেলার আহ্বান জানিয়েছে জিনপিং প্রশাসন। তবে এ চুক্তি কোনো পক্ষের বিরুদ্ধে নয় বলেই দাবি করছে যুক্তরাজ্য।
ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের আধিপত্য ঠেকাতে উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বিনিময়ে বুধবার যৌথ ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া। আর এই জোট আঞ্চলিক শান্তি মারাত্মকভাবে বিনষ্ট করবে বলেই হুশিয়ারি দিয়েছে চীন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, তিনদেশের এ সিদ্ধান্ত থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে পারমাণবিক রপ্তানিকে ভূ-রাজনৈতিক খেলার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে তারা।
নতুন জোটের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া নিজে থেকেই চীনের শত্রুতে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের গ্লোবাল টাইমস পত্রিকা।
এদিকে বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বরিস জনসন জানিয়েছেন, কোনো শক্তির বিরুদ্ধেই প্রতিপক্ষ নয় নতুন এই জোট।
বরিস জনসন বলেন, প্রথমবারের মতো পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিনের বহর অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সাহায্য চেয়েছে আমাদের। আমরা তাদের পাশে থাকবো।
চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় মার্কিন সেনা আসার পর ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্প উন্নয়ন করা হবে বলে জানিয়েছে স্কট মরিসনের প্রশাসন।
অন্যদিকে, ত্রিদেশীয় এই চুক্তির মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও জোটবদ্ধ হয়ে, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজস্ব প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কৌশল তৈরী করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ইইউয়ের শীর্ষ কূটনীতিক জোসেপ বোরেল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।