জুমবাংলা ডেস্ক : সদ্য প্রকাশিত রাজাকারের তালিকা সংশোধনপূর্বক নাম বাতিল ও প্রত্যাহার চেয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু। একই সঙ্গে যে তথ্যের ভিত্তিতে তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে তার অনুলিপি সরবরাহের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবরও আবেদন করেছেন তিনি।
বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিজ চেম্বারে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান গোলাম আরিফ টিপু নিজেই।
ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য চলতি বছর একুশে পদক পাওয়া গোলাম আরিফ টিপু ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের বিশেষ গেরিলা বাহিনীর হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
রাজশাহীতে বাংলা ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার পর থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া পর্যন্ত সকল গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন প্রায় ৮৯ বছর বয়সী এই আইনজীবী।
২০১৩ সালে ৭ জুলাই মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত। ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর থেকে তিনি প্রসিকিউশনের প্রধান কৌঁসুলির দায়িত্ব পালন করছেন।
অথচ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত রবিবার স্বাধীনতা বিরোধীদের যে তালিকা প্রকাশ করে তাতে গোলাম আরিফ টিপুর নাম রয়েছে।
এই তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরই ক্ষোভ প্রকাশ করেন গোলাম আরিফ টিপু। গতকাল মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান এ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আমি একজন ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। আমি বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ‘৫৪, ‘৬২, ‘৬৬, ‘৬৯ ও ‘৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী। অথচ আমার নাম রাজাকারের তালিকায়! আমি সত্যিই হতবাক, মর্মাহত, বিস্মিত ও অপমানিত। সীমাহীন অযত্ন ও অবহেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাজাকারের তালিকা প্রচার ও প্রকাশ করেছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।