স্পোর্টস ডেস্ক : অনেকদিন ধরেই ফর্মহীনতায় ভূগছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। টেস্ট সিরিজে দুই ‘ডাক’ মারার পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও তিনি ‘ডাক’ মেরেছেন। তার চেয়েও বড় কথা, ইনফর্ম ওপেনার রোহিত শর্মাকে ওই ম্যাচে ‘বিশ্রামে’ পাঠিয়েছিলেন। দিনশেষে এই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়েছে। লোকেশ রাহুল এবং শিখর ধাওয়ান দুই ওপেনারই ব্যর্থ হয়েছেন। ভারতও হেরেছে। তাই এবার অধিনায়ক কোহলিকে ধুয়ে দিলেন সাবেক ওপেনার বীরেন্দ্র শেবাগ।
উচিত কথা বলতে কখনই ভয় পান না শেবাগ। তার ব্যাটের মতোই যেন সোশ্যাল সাইটের স্ট্যাটাসগুলো তার অপছন্দের ব্যক্তিকে সীমানার বাইরে পাঠিয় দেয়। এবার ক্রিকবাজকে শেবাগ বলেছেন, ‘রোহিত যদি দলে থাকে, তাকে অবশ্যই খেলানো উচিত। দর্শকরা মাঠে আসেন রোহিতদের মতো তারকার খেলা দেখতে। আমি তার বড় ভক্ত। সে যদি না খেলে তাহলে আমার টিভি বন্ধ থাকবে। কোহলি বলল, রোহিতকে শুরুর কিছু ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হবে। যদি দল হারে, তারপরেও কি এই স্ট্র্যাটেজি ধরে রাখা হবে?’
কোহলির বিশ্রাম নীতির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘বলা হচ্ছে যে রোহিত শর্মা দুটি ম্যাচে বিশ্রাম নেবে। কিন্তু এই নিয়মটা কি কোহলির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য? আমার মনে হয় না, একজন অধিনায়ক হিসেবে সে বলবে যে পরের দুটি ম্যাচে আমি বিশ্রাম নেব। অধিনায়ক যদি বিশ্রাম না নেয়, তাহলে সে অন্য কাউকে কীভাবে বিশ্রাম দেয়? এটা নির্দিষ্ট ওই খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে। তুমি যখনই ইচ্ছা চাইবে রোহিত, ইশান্ত শর্মা, মোহাম্মদ শামি, জশপ্রিত বুমরাকে বিশ্রাম দেবে; আর নিজের বেলায় এই নীতি মানবে না!’
অধিনায়ক কোহলিকে স্ট্রেইট ড্রাইভে উড়িয়ে শেবাগ আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, কোহলি কথায় এক আর কাজে আরেক। মাঠের বাইরে যা বলে, মাঠে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সেগুলো মানে না। প্রথমে সে বলেছিল, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে ঋষভ পন্থকে ফেরানো হবে। কিন্তু হয়েছে উল্টো, মানে বাদ দেওয়া হয়! তারপর পন্থ যখন টেস্টে রান করল, তখন কোহলি আবার বলে বসে, যদি ফিট হয়ে রান করতে পারে তাকে দলে নেওয়া হবে। কোহলি এখনো বলছে, পন্থের ন্যাচারাল গেম খেলা উচিত। তবে পন্থ যদি কোনো ম্যাচেই ২৩ বলে ২১ করে আউট হয়ে যায়, পরের ম্যাচেই তাকে রিজার্ভ বেঞ্চে বসতে হয়। তাই কোহলি মাঠে নিজের কথাই মানে না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।