আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কলা খাওয়ার ভিডিও প্রকাশের অভিযোগে সিরিয়ার সাত শরণার্থীকে আটক করেছে তুরস্ক। তাদের বহিষ্কার করা হবে বলেও ঘোষণা করেছে দেশটি।
পার্স টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের অভিবাসন অধিদপ্তর জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় তুর্কি জনগণের মধ্যে ‘প্রচণ্ড ক্ষোভ’ তৈরি হয়েছে। কারণ, তুরস্কের মুদ্রার মান পড়ে যাওয়ায় জনগণ যে তীব্র অর্থনৈতিক চাপে পড়েছেন, তাকে বিদ্রূপ করতে ওই ভিডিও ছড়ানো হয়েছে।
দেশটির অভিবাসন অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করে, আটক সাত শরণার্থীকে সিরিয়ায় ফেরত পাঠানো হবে। লিরার মুদ্রামানের পতন ও তীব্র মূল্যস্ফীতির কারণে তুরস্কের জনগণের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে প্রচণ্ড শরণার্থীবিরোধী জনমত গড়ে উঠেছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান বলেন, তুরস্কে এখন শরণার্থী আছে প্রায় ৫০ লাখ। তাদের বেশিরভাগই সিরিয়ার যুদ্ধ থেকে পালিয়ে এসেছে।
সিরিয়ার শরণার্থীদের তোলা ভিডিও আপলোড করা হয় ১৭ অক্টোবর। ভিডিওটিতে দেখা যায়, একজন সিরীয় শরণার্থী তরুণী কলা খাচ্ছেন এবং তার প্রতি রাগ ঝাড়ছেন একজন তুর্কি নাগরিক। তিনি সিরীয় তরুণীকে যা বলছেন তার অর্থ হচ্ছে, তারা শরণার্থী হয়েও তুরস্কের নাগরিকদের চেয়ে কেন ভালো খাচ্ছেন এবং ভালো থাকছেন! ওই তুর্কি নাগরিক বলছেন, ‘আমি কলা খেতে পারছি না অথচ তুমি কয়েক কেজি কলা একসঙ্গে কিনে খাচ্ছো?’
এই ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর সিরীয় শরণার্থীদের আত্মসম্মানে আঘাত লাগে এবং তাদের কেউ কেউ কলা খাওয়ার দৃশ্য ভিডিও করে ও ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করতে থাকেন।
প্রসঙ্গত, তুরস্কে কলার চাষ হয় না। দেশটির জনগণকে বিদেশ থেকে আমদানি করা এই ফল চড়া দামে কিনে খেতে হয়।
https://twitter.com/i/status/1453844186248228885
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।