বহু শতাব্দী ধরে আয়ুর্বেদ এবং লোকজ চিকিৎসায় নিম পাতা ব্যবহৃত হয়ে আসছে একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি–ইনফ্লেমেটরি গুণাবলীর কারণে নিম পাতাকে বলা হয় ত্বকের প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ। ব্রণ থেকে একজিমা কিংবা সংক্রমণ—ত্বকের নানা সমস্যার সমাধানে নিম পাতা কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
অনেকেই ত্বক ডিটক্স করতে নানা প্রসাধনী ব্যবহার করেন, কিন্তু সেসবের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বেশ ভোগান্তি ডেকে আনে। প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে নিরাপদ বিকল্প হতে পারে নিম পাতা।
নিম পাতার উপকারিতা
ব্রণ নিয়ন্ত্রণ: অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ ব্রণ সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করে, প্রদাহ ও দাগ কমায়।
ত্বকের ডিটক্স: টক্সিন বের করে ছিদ্র পরিষ্কার রাখে, ত্বককে করে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল।
অ্যান্টি–এজিং গুণ: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে, বলিরেখা ও বয়সের ছাপ কমায়।
সংক্রমণ নিরাময়: অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিভাইরাল গুণ একজিমা, সোরিয়াসিস ও দাদ প্রতিরোধ করে।
তৈলাক্ততা নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত তেল কমিয়ে ছিদ্র বন্ধ হওয়ার প্রবণতা হ্রাস করে।
নিম পাতার ব্যবহার পদ্ধতি
ফেস মাস্ক: তাজা নিম পাতা বেটে মধু ও হলুদ মিশিয়ে ১৫–২০ মিনিট মুখে লাগান, ব্রণ ও দাগ কমবে।
নিম পানি: ১ লিটার পানিতে এক মুঠো নিম পাতা ১০ মিনিট ফুটিয়ে ঠান্ডা করে মুখ ধুতে ব্যবহার করুন।
নিম তেল ম্যাসাজ: নিম তেলের সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে সপ্তাহে ২–৩ বার ত্বকে ম্যাসাজ করুন, শুষ্কতা ও একজিমা কমবে।
স্ক্রাব: শুকনো নিম পাতার গুঁড়ো, চালের গুঁড়ো ও দই মিশিয়ে স্ক্রাব বানান; মৃত কোষ দূর করে ত্বক মসৃণ করবে।
গোসল: ফুটানো নিমপাতার পানি স্নানের পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করলে সংক্রমণ ও অ্যালার্জি কমে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।