লাইফস্টাইল ডেস্ক : থানকুনি পাতা প্রায় ছোট গোলাকৃতি এবং ভেষজ গুণসম্পন্ন পাতা। এর ল্যাটিন নাম Centella aciatica. তবে অঞ্চলভেদে থানকুনি পাতাকে তিতুরা, আদামনি, মানকি, টেয়া, থানকুনি, ঢোলামনি, আদাগুনগুনি, মানানানি, থুলকুড়ি প্রভৃতি নামে ডাকা হয়।
ভেষজ গুণসম্পন্ন থানকুনি পাতাতে রয়েছে অনেক রোগের উপশম উপায়। গ্রামাঞ্চলে এই পাতার ব্যবহার আদি যুগ থেকেই হয়ে আসছে।
থানকুনি পাতা স্কাল্পের ভিতরে পুষ্টি ঘাটতি দূর করে ফলে চুল পড়ার মাত্রা কম হয়ে যায়। শরীরে কিংবা রক্তে প্রবেশকৃত নানা ধরনের টক্সিন শরীর থেকে বের করে দিতে সহায়তা করে থানকুনি পাতা।
থানকুনি পাতা শরীরে উপস্থিত স্পেয়োনিনস এবং অন্যান্য উপাদানের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কোথাও কেটে গেলে তাৎক্ষণিক ভাবে থানকুনি পাতা বেটে লাগিয়ে নিলে কষ্ট কম হয়।
থানকুনি পাতায় উপস্থিত একাধিক উপকারী উপাদান হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ফলে বদহজম বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা সহজে হয় না।
প্রতিদিন সকালে থানকুনি পাতা নিয়ম করে খেলে আমাশয় দূর হয়ে যায়। এছাড়া থানকুনি পাতার রসের সাথে চিনি মিশিয়ে খেলে কাশির উপশম হয়।
থানকুনি পাতায় উপস্থিত অ্যামাইনো অ্যাসিড, বিটা ক্যারোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফাইটোক্যামিকেল ত্বকের ভিতরের পুষ্টি ঘাটতি দূর করে এবং বলিরেখা কমাতেও সাহায্য করে। ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বকের সুরক্ষা বজায় থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।